ভারতে একটি গুহায় বসবাস করা এক রাশিয়ান নারী ও তাঁর দুই মেয়ের ঘটনা বর্তমানে আলোচনার বিষয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, নিনা কুটিনা নামের ৪০ বছর বয়সী ওই নারী ও তাঁর ৬ এবং ৪ বছর বয়সী দুই মেয়েকে কর্ণাটক রাজ্যের উপকূলের একটি ভূমিধস প্রবণ পর্যটন কেন্দ্র রামতীর্থ পাহাড়ে পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাঁরা কয়েক বছর ধরে ওই গুহায় বসবাস করছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিনার ভিসার মেয়াদ আট বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে প্রকৃতির কাছাকাছি, জঙ্গলে তাঁদের জীবন কেমন ছিল, সে বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন নিনা।
তিনি জানান জলপ্রপাতে সাঁতার কাটা, ছবি আঁকা এবং মাটির পাত্র তৈরি করা—এসব করেই তাঁরা দিন কাটাতেন। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা জঙ্গলে, প্রকৃতির মধ্যে থাকতে অভ্যস্ত।
আমরা মরিনি। আমি আমার মেয়েদের জঙ্গলে মরতে নিয়ে আসিনি।”
নিনার কথায়, তাঁদের ভিসা বেশি দিন আগের কথা নয়, “কিছুদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে”। ২০১৭ সালে ভারতে আসার আগে তাঁরা আরও চারটি দেশে বসবাস করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিনা ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে একটি ব্যবসার ভিসায় গোয়ায় আসেন, যা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যায়। এরপর তিনি নেপালে যান এবং পরে আবার ভারতে ফিরে আসেন।
পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এম নারায়ণার মতে, নিনা তাঁর এবং তাঁর সন্তানদের পাসপোর্ট ও ভিসার সঠিক বিবরণ দিতে চাননি। তিনি এও জানান যে, নিনার এক ছেলে ছিল, যে গোয়ায় মারা গেছে।
নিনার ভাষ্যমতে, তিনি প্রকৃতি ভালোবাসেন বলেই ভারত ছাড়তে চান না। তবে কর্তৃপক্ষীয় নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে না জানিয়ে ২০১৭ সাল থেকে ভারতে বসবাস করাটা একটি উদ্বেগের বিষয় ছিল, কারণ এটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি গুরুতর সমস্যা।
কর্মকর্তারা বর্তমানে নিনা ও তাঁর মেয়েদেরকে তাঁদের নিজ দেশে, রাশিয়ায় ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। মেয়েদের কোনো পাসপোর্ট নেই।
বর্তমানে তাঁদেরকে অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের জন্য তৈরি একটি ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন