মার্কিন বিতাড়িত অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে রুয়ান্ডা? তোলপাড়!

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত অভিবাসীদের গ্রহণ করার বিষয়ে রুয়ান্ডার সঙ্গে আলোচনা চলছে। রুয়ান্ডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী অলিভার এনডুহুঙ্গিরেহে সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে গিয়ে তিনি জানান, দু’দেশের মধ্যে আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কিভাবে সবকিছু এগোবে, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আলোচনা চলছে এবং তা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

অতীতে রুয়ান্ডা পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বিতাড়িত অভিবাসীদের গন্তব্য হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছিল। যদিও মানবাধিকার সংস্থাগুলো রুয়ান্ডার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তাদের মতে, রুয়ান্ডা কিছু মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।

এর আগে, যুক্তরাজ্য সরকার কয়েক হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে রুয়ান্ডায় পাঠানোর জন্য ২০২২ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের আমলে সেই চুক্তি বাতিল হয়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মেয়াদের শুরুতে অভিবাসন নীতি কঠোর করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি অবৈধভাবে বসবাসকারী এবং অন্যান্য অন-নাগরিকদের বিতাড়িত করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সতর্ক করে বলেছে, রুয়ান্ডায় পাঠানো কিছু অভিবাসীকে হয়তো তাদের দেশেই ফেরত পাঠানো হতে পারে, যেখান থেকে তারা পালিয়ে এসেছে। যদিও রুয়ান্ডা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং ইউএনএইচসিআর-কে মিথ্যাবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছে।

গত মাসে, যুক্তরাষ্ট্র ইরাকি এক শরণার্থীকে রুয়ান্ডায় ফেরত পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে তাকে ইরাক সরকারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করছিল। ইরাক সরকারের দাবি ছিল, ওই ব্যক্তি ইসলামিক স্টেটের হয়ে কাজ করত।

এপ্রিল মাসে, সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের একটি পদক্ষেপকে সাময়িকভাবে বাধা দেয়। প্রশাসন ভেনেজুয়েলার কিছু অভিবাসীকে বিতাড়িত করতে চেয়েছিল, যাদের তারা গ্যাং সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল।

তথ্য সূত্র: সিএনএন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *