যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে রুয়ান্ডার সঙ্গে আলোচনা চলছে, এমনটাই জানা গেছে।
রুয়ান্ডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী অলিভার এনডুহুঙ্গিরেহে নিশ্চিত করেছেন যে, অভিবাসীদের গ্রহণ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। জানা গেছে, এই চুক্তির আওতায় রুয়ান্ডা সম্ভবত অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে এবং তাদের পুনর্বাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সহায়তা দেবে।
রবিবার রুয়ান্ডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে, তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
ধারণা করা হচ্ছে, অভিবাসীদের সমাজে পুনর্বাসনের জন্য রুয়ান্ডা সরকার এই অর্থ ব্যবহার করবে। এর মধ্যে থাকতে পারে অভিবাসীদের জন্য ভাতা এবং চাকরির ব্যবস্থা করা।
মন্ত্রী আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও রুয়ান্ডার মধ্যে এমন চুক্তি হলে তা হবে রুয়ান্ডার মানবিক সহযোগিতা এবং অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালার ধারাবাহিকতা। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রুয়ান্ডার সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি, তবে তারা বলেছে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে বিদেশি সরকারগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা তাদের নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এর আগে, যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে রুয়ান্ডার এমন একটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। জানা যায়, লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এছাড়া, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রুয়ান্ডার অনুরূপ একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল।
বর্তমানে, রুয়ান্ডা প্রতিবেশী দেশ কঙ্গোর সঙ্গে শান্তি আলোচনারত রয়েছে।
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা বিভিন্ন হামলায় জড়িত। রুয়ান্ডা ও কঙ্গো উভয় দেশই তাদের প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছে এবং আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান