যুক্তরাষ্ট্রের বিতাড়িত অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর আলোচনা: চাঞ্চল্যকর তথ্য!

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত অভিবাসীদের গ্রহণ করার বিষয়ে রুয়ান্ডা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। রুয়ান্ডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী অলিভার এনদুহুঙ্গিরেহে সম্প্রতি দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান। তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে আলোচনা অব্যাহত আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি কঠোর করতে অভিবাসীদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া জোরদার করা হয়েছে। দেশটির সরকার এমন কিছু অভিবাসীকে রুয়ান্ডায় পাঠাতে চাইছে, যাদের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে এবং যারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কারাদণ্ড শেষ করেছেন। তাদের রুয়ান্ডায় পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।

মার্কিন মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, বিতাড়িত অভিবাসীদের গ্রহণ করার জন্য রুয়ান্ডাকে অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ এবং কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো, বিতাড়িত অভিবাসীদের পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসা প্রতিরোধ করা।

এর আগে, যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে রুয়ান্ডার একটি অনুরূপ চুক্তি হয়েছিল, যেখানে যুক্তরাজ্য থেকে বিতাড়িত অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর কথা ছিল। তবে, সেই পরিকল্পনাটি ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং তা বাতিল হয়ে যায়। ব্রিটিশ সরকার রুয়ান্ডার সঙ্গে করা চুক্তি থেকে সরে আসে।

বর্তমানে, রুয়ান্ডা ওই বাতিল হওয়া চুক্তির ক্ষতিপূরণ হিসেবে যুক্তরাজ্যের কাছে প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বেশি) চাইছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) সতর্ক করে জানিয়েছে, রুয়ান্ডায় পাঠানো কিছু অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে, যেখানে তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। এই বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। যদিও রুয়ান্ডা সরকার ইউএনএইচসিআরের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ অভিবাসন নীতির কঠোর রূপ বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন বিরোধী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বর্তমানেও তার প্রশাসন অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *