গোলফের ময়দানে উত্তেজনার ঢেউ, রাইডার কাপে ইউরোপের জয়।
বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় গলফ টুর্নামেন্ট, রাইডার কাপে (Ryder Cup) আবারও জয়ী হল ইউরোপ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে, আমেরিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ইউরোপীয় দল শেষ পর্যন্ত ট্রফি নিজেদের দখলেই রাখতে সক্ষম হয়েছে।
খেলার শেষ দিনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভাবনীয়ভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করলেও, শেষ রক্ষা হয়নি।
প্রতিযোগিতার শুরুতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দল বেশ পিছিয়ে ছিল। কার্যত জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছিল তাদের জন্য।
কিন্তু শেষ দিনের খেলায়, তারা অসাধারণ লড়াই করে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে। ক্যামেরন ইয়ং, ব্রাইসন ডিচাম্বো, জাস্টিন থমাস এবং স্কটি শেফলারের মতো তারকা গলফাররা তাদের নিজ নিজ ম্যাচে জয়লাভ করেন।
বিশেষ করে, ডিচাম্বো পাঁচ গর্তে পিছিয়ে থেকেও দারুণভাবে ফিরে আসেন এবং ম্যাচ ড্র করেন। এই জয়গুলো আমেরিকান সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে আশা জাগিয়ে তোলে।
তবে, ইউরোপীয় দল ছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শেষ পর্যন্ত শেন লোরির গুরুত্বপূর্ণ পারফরম্যান্স ইউরোপের জয় নিশ্চিত করে।
লোরি জয়সূচক একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘পুট’ করেন, যা খেলাটির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই জয়ে ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
রাইডার কাপের এই আসরে, মাঠের বাইরের কিছু ঘটনাও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, দর্শকদের আচরণ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে।
খেলোয়াড়দের প্রতি কিছু দর্শকের অসৌজন্যমূলক আচরণ দেখা গেছে, যা খেলার সৌন্দর্যকে কিছুটা হলেও ম্লান করে দেয়।
খেলা শেষে, উভয় দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ও আনন্দের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
মার্কিন দলের ক্যাপ্টেন কিগান ব্র্যাডলি বলেন, “আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গেছি, কিন্তু ইউরোপীয় দল তাদের সেরাটা দিয়ে খেলেছে।
রাইডার কাপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গলফের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। এই টুর্নামেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গলফপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশেও বর্তমানে গলফ খেলার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, এবং ভবিষ্যতে হয়তো বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
মোটকথা, রাইডার কাপের এই আসরটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ এবং স্মরণীয়। একদিকে যেমন ছিল আমেরিকার অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা, তেমনি ছিল ইউরোপের দৃঢ়তা। শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় দল তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে জয় ছিনিয়ে আনে।
তথ্য সূত্র: CNN