মেয়ে ভ্যালেন্টিনার রূপে মুগ্ধ সালমা হায়েক! গোপন কথা ফাঁস

সালমা হায়েকের রূপচর্চার রহস্য, মেয়ের থেকেই সব!

বিখ্যাত অভিনেত্রী সালমা হায়েক পিনল্ট তাঁর রূপচর্চার বিষয়ে মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর রূপচর্চার মূল পরামর্শদাতা আর কেউ নন, তাঁর ১৭ বছর বয়সী মেয়ে ভ্যালেন্টিনা।

“আমি সবকিছুই করি, তবে অতিরিক্ত কিছুই না,”—নিজের রূপচর্চা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এমনটাই জানান এই অভিনেত্রী। তবে বর্তমানে তিনি তাঁর সৌন্দর্যচর্চায় একটি নতুন বিষয় যোগ করেছেন। সম্প্রতি, তিনি Merz Aesthetics-এর Ultherapy Prime-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন। এটি একটি আলট্রাসাউন্ড ডিভাইস, যা ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ঘাড়ের চামড়া ঝুলে যাওয়া বা ‘টার্কি নেক’-এর সমস্যা দূর করতে এটি বেশ কার্যকরী।

নিজের ‘টার্কি নেক’-এর সমস্যা অনুভব করার পরই সালমা এই চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে আকৃষ্ট হন। তিনি বলেন, এই চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি নিশ্চিত হন যে, তাঁর সমস্যার সমাধান হয়েছে। “এই অভিজ্ঞতা আমাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে। সবারই নিজের জন্য সঠিক জিনিস খুঁজে বের করতে হয়। আমি মনে করি, এই পদ্ধতিটি আমার জন্য কাজ করেছে।”

তবে সালমার রূপচর্চা শুধু এই একটি পদ্ধতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর ত্বকের আসল রহস্য লুকিয়ে আছে মেয়ের কাছে। সালমা জানান, তাঁর মেয়ে ভ্যালেন্টিনা রূপচর্চার বিষয়ে সবকিছু জানে। “ভ্যালেন্টিনা এমন সব পণ্যের কথা জানে, যা হয়তো আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আমি যখন জানতে চাই, ওটা কী? তখন সে বলে, ওহ, এটা এই কাজে লাগে…।”

সালমা আরও জানান, ভ্যালেন্টিনা প্রায়ই কোরিয়াটাউনে গিয়ে রূপচর্চার সামগ্রী কেনে। মা হিসেবে তিনি মেয়ের কাছে আবদার করেন তাঁর জন্য কিছু আনতে। “আমি বলি, আমার জন্য কিছু নিয়ে এসো। কিন্তু সে সবসময় নতুন কিছু নিয়ে আসে। বলে, ‘মা, এখন তো এটাই লেটেস্ট, এটা ব্যবহার করে দেখো।’ আমি তো ব্র্যান্ডগুলোর নামও জানি না। তবে সে এগুলোর প্রতি খুব আগ্রহী।”

মেয়ের ১৭তম জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন একটি পোস্ট করেন সালমা। সেখানে তিনি লেখেন, মেয়ে বড় হয়ে গেলে তাঁর কেমন লাগবে, সেই ‘বিচ্ছেদ-আতঙ্ক’ এখন থেকেই অনুভব করছেন। “ভ্যালেন্টিনা সারাক্ষণ হাসিখুশি রাখে, অনেক কিছু শেখায়, আমাকে অনুপ্রাণিত করে, জীবনকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।”

ভ্যালেন্টিনার বড় হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে সালমা জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে তাঁর স্বামী ফ্রাঁসোয়া-অঁরি পিনলটের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই কথা বলছেন। তিনি বলেন, “আমি গত ১৮ বছর ধরে আমার পরিবারের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। তবে আমরা দুজনেই জানি, মেয়ের বড় হয়ে যাওয়ার পর আমি আমার সমাজ এবং আমার কাজের প্রতি মনোনিবেশ করব। তিনি চান আমি আমার ভেতরের সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করি।”

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *