গানের স্বত্ব ফিরে পেতে রেকর্ড লেবেলের বিরুদ্ধে সল্ট-এন-পেপার যুদ্ধ!

সঙ্গীত জগতে এক উল্লেখযোগ্য নাম সল্ট-এন-পেপা। এই বিখ্যাত হিপ-হপ শিল্পীগোষ্ঠী তাদের গানের স্বত্ব ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছে।

তাদের অভিযোগ, ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ (ইউএমজি) তাদের গানের স্বত্ব ফিরিয়ে দিতে রাজি হচ্ছে না। এই কারণে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

নব্বই দশকের শুরুতে ‘শুপ’ (Shoop) এবং আশি দশকের শেষে ‘পুশ ইট’ (Push It)-এর মতো জনপ্রিয় গান উপহার দেওয়া এই দলের সদস্যরা তাদের পুরনো গানের মালিকানা ফিরে পেতে চান। ১৯৭৬ সালের কপিরাইট আইন অনুযায়ী, শিল্পী তার কাজ কয়েক দশক পর ফিরিয়ে নিতে পারেন।

সেই অধিকার প্রয়োগ করে সল্ট-এন-পেপা তাদের গানগুলোর স্বত্ব চেয়েছেন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ইউএমজি তাদের গানগুলো বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সল্ট-এন-পেপার মতে, এর মাধ্যমে তাদের গানের বাজারমূল্য কমানো হচ্ছে এবং ভক্তদের গান শোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ইউএমজি’র দাবি, সল্ট-এন-পেপার গানগুলো ‘ওয়ার্কস মেড ফর হায়ার’ ক্যাটাগরির অধীনে তৈরি হয়েছিল। এর ফলে তারা গানের স্বত্ব ফেরত পাওয়ার অধিকারী নন।

তাছাড়া, ১৯৮৬ সালের চুক্তিতে সল্ট এবং পেপা সরাসরি জড়িত ছিলেন না বলেও তাদের দাবি।

সল্ট-এন-পেপা এই বিষয়ে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন এবং তাদের গানের ওপর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তাদের হিসাব অনুযায়ী, ক্ষতির পরিমাণ এক মিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারে, যা বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ১১ কোটি টাকার বেশি।

সল্ট-এন-পেপা’র আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের দল এই বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসার চেষ্টা করছে। তবে, সল্ট-এন-পেপা’র আইনজীবীর দাবি, ইউএমজি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের অধিকার খর্ব করছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে কুইন্সে (নিউ ইয়র্ক) সল্ট-এন-পেপা গঠিত হয়। তারা হিপ-হপ জগতে নারী শিল্পীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত।

তাদের গানে নারীদের যৌনতা ও ক্ষমতায়নের কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হতো। ১৯৯৫ সালে তারা প্রথম নারী র‍্যাপ শিল্পী হিসেবে গ্র্যামি জেতেন। এছাড়াও, ২০২১ সালে তারা গ্র্যামি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার পান।

খুব শীঘ্রই তাদের রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম-এর মিউজিক্যাল ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *