প্রয়াত ‘ফ্লাওয়ার মুন’ অভিনেতা: ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে

অভিনেতা স্যামুয়েল ফ্রেঞ্চ, যিনি মার্টিন স্কোরসেসির চলচ্চিত্র ‘কিলার্স অফ দ্য ফ্লাওয়ার মুন’-এ অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত ছিলেন, শুক্রবার, ৯ই মে, টেক্সাসের ওয়াকোতে ৪৫ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে।

ফ্রেঞ্চ, যিনি ‘দ্য ওয়াকিং ডেড’ ফ্র্যাঞ্চাইজির মতো জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজেও কাজ করেছেন, তাঁর অভিনয় দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিলেন।

চলচ্চিত্র প্রযোজক পল সিনাকোর, যিনি ফ্রেঞ্চের সঙ্গে আসন্ন চলচ্চিত্র ‘টাওপথ’-এ কাজ করেছেন, সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

সিনাকোর জানান, ফ্রেঞ্চ ছিলেন একজন “আকর্ষণীয় অভিনেতা, যিনি তাঁর বিস্ফোরক অভিনয় এবং কাজের প্রতি আপোষহীন নিষ্ঠার জন্য পরিচিত ছিলেন।

‘কিলার্স অফ দ্য ফ্লাওয়ার মুন’-এ ফ্রেঞ্চ সি জে রবিনসন নামক একজন আন্ডার কভার এজেন্টের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

এই ছবিতে তাঁর চরিত্রটি ১৯২০-এর দশকে ওসাগে হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিল।

সিনেমায় রবার্ট ডি নিরোর সঙ্গে তাঁর অভিনয় আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছিল।

সিনাকোর আরও উল্লেখ করেছেন যে, ফ্রেঞ্চ ‘টাওপথ’ চলচ্চিত্রে ডিটেকটিভ বার্নার্ড ক্রুকের চরিত্রে অভিনয় করে গভীরতা এনেছিলেন, যা ১৯৬৪ সালের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময়ের একটি ঘটনা নিয়ে নির্মিত।

ফ্রেঞ্চের প্রয়াণের পর মুক্তি পেতে যাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘টাওপথ’ এবং ‘মনস্টার্স উইদিন’।

‘মনস্টার্স উইদিন’-এ সাইরাস চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কারও জিতেছিলেন।

স্যামুয়েল ফ্রেঞ্চ টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

‘টেক্সাস রাইজিং’ এবং ‘দ্য মার্ক অফ আ কিলার’-এর মতো টেলিভিশন শো-তে অতিথি শিল্পী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল।

‘ফেয়ার দ্য ওয়াকিং ডেড’-এর ষষ্ঠ সিজনে বেন চরিত্রেও তিনি অভিনয় করেন।

অভিনেতার প্রয়াণে চলচ্চিত্র জগতে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।

তাঁর অসামান্য অভিনয় প্রতিভার জন্য তিনি দর্শকদের হৃদয়ে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *