ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো শহরে, যা “আমেরিকার ফাইনস্ট সিটি” নামেও পরিচিত, সেখানকার জীবনযাত্রার বিশেষত্ব নিয়ে সম্প্রতি নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে সান দিয়েগোর সংস্কৃতি, প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং সেখানকার মানুষের মধ্যেকার আনন্দ ও মিলনের চিত্র তুলে ধরা হয়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মত একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে “পোর্ট্রেট অফ সান দিয়েগো: এ কালচার অফ হ্যাপিনেস” শীর্ষক একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়, যেখানে শহরটির এই বিশেষ দিকগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সান দিয়েগোর জীবনযাত্রার একটি উজ্জ্বল চিত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানকার সমুদ্র উপকূল, সবুজ স্থান, এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ক— সবকিছুই এই শহরের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
খাদ্যরসিকদের জন্য ছিল বিশেষ আয়োজন। শেফ তারা মনসদের তৈরি “পয়েন্ট লোমা পনজু” এবং “লা জোল্লা লবস্টার পালাবকের” মতো স্থানীয় খাবারগুলো দর্শকদের মন জয় করে। এই খাবারের স্বাদ যেন সান দিয়েগোর বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতির এক ঝলক ছিল।
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পর আলোচনা সভায় পরিচালক পল প্রায়রের সঙ্গে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এক্সপ্লোরার অ্যালবার্ট লিন, পরিবেশবিদ এবং সার্ফার রব মাকাদো, এবং শেফ তারা মনসদের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সান দিয়েগোর সংস্কৃতি নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
রব মাকাদো সমুদ্রের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্কের কথা জানান, যা সান দিয়েগোর সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্যদিকে, অ্যালবার্ট লিন এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতির ঐতিহাসিক যোগসূত্র নিয়ে কথা বলেন।
শেফ মনসদ সান দিয়েগোর খাদ্য সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের ওপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জন্য স্যান্ড আর্ট শিল্পী ম্যাট লং-এর তৈরি ক্যালিফোর্নিয়া টাওয়ারের একটি বালুর ভাস্কর্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয় ছিল।
সবশেষে, সান দিয়েগোর লোগো এবং ব্যক্তিগত নাম খোদাই করা চামড়ার তৈরি ব্যাগেজ ট্যাগ তৈরি করার সুযোগ ছিল।
অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ছিল— সান দিয়েগোর “আনন্দের সংস্কৃতি” কোনো নিছক ধারণা নয়, বরং এটি একটি জীবন্ত বাস্তবতা, যা মানুষকে একসঙ্গে বাঁচার অনুপ্রেরণা যোগায়। এই শহরের জীবনযাত্রা সবাইকে নতুন করে আবিষ্কার করতে এবং একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে উৎসাহিত করে।
তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক