ঘরের সাজসজ্জার নামে কত কিছুই না আমরা কিনি, কিন্তু সেগুলোর কি সবসময়ই প্রয়োজন থাকে? এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই উঁকি দেয়, বিশেষ করে যখন তারা দেখেন তাদের আশেপাশে কত জিনিস জমে আছে, যা হয়তো ব্যবহার হয় না বললেই চলে।
সম্প্রতি, এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে, যেখানে অপ্রয়োজনীয় গৃহসজ্জা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আলোচনার মূল বিষয় ছিল – সোফার কুশন এবং বেডস্প্রেড বা বিছানার চাদর। অনেক বাড়িতেই দেখা যায়, সোফার ওপরে নানা আকারের, নানা রঙের কুশন সাজানো থাকে।
আবার, বিছানার উপরেও ভারী ও নকশা করা চাদর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।
কিছু মানুষের মতে, এগুলো শুধু ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, কিন্তু তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা বেশ ঝামেলার। উদাহরণস্বরূপ, বিছানার ভারী চাদর ওঠানো-নামানো অনেকের কাছেই কষ্টকর মনে হয়।
এছাড়া, এই ধরনের জিনিস পরিষ্কার করা এবং জায়গা রাখাটাও বেশ কঠিন।
অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন, এই ধরনের গৃহসজ্জা ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে এবং আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে।
একটি অস্ট্রেলীয় বেডরুমের আসবাব প্রস্তুতকারক কোম্পানির মতে, “বেডস্প্রেড এখনো জনপ্রিয়, কারণ এটি ঘরকে আরামদায়ক করে তোলে।”
তবে, সমালোচকদের মতে, এই ধরনের জিনিসের অতিরিক্ত ব্যবহার আসলে স্থান নষ্ট করে এবং অনেক সময় তা অপ্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।
কুশনগুলো হয়তো দেখতে সুন্দর লাগে, কিন্তু রাতে ঘুমানোর সময় তাদের সরিয়ে রাখতে হয়, আবার সকালে সেগুলো ফিরিয়ে আনা হয়। এই আসা-যাওয়ার মধ্যে তাদের তেমন কোনো ব্যবহার হয় না।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এগুলো প্রায়ই উপহার হিসেবে পাওয়া যায়, যা হয়তো আমাদের প্রয়োজনীয়তা মেটায় না। ফলে, একসময় এগুলো ঘরের কোণে জায়গা নেয় এবং এক ধরনের অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করে।
আসলে, আমাদের জীবনযাত্রায় সচেতনতা আনা দরকার। গৃহসজ্জার নামে আমরা যা কিছু কিনি, তার প্রয়োজনীয়তা যাচাই করা উচিত।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে জায়গা নষ্ট করার চেয়ে, প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কেনা এবং ঘরকে পরিপাটি রাখা অনেক বেশি জরুরি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান