যুক্তরাজ্যে স্কুল ডিনার এবং ভ্রমণের অর্থ পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত ‘স্কুইড’ নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন তাদের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, পরিষেবা বন্ধ করার পর অভিভাবকদের একাউন্টে থাকা অবশিষ্ট টাকা উত্তোলনের জন্য কোম্পানিটি ১০ পাউন্ড (যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩০০ টাকার সমান) ফি ধার্য করেছে।
এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন অভিভাবক ও অনলাইন ব্যবহারকারীরা। তাদের মতে, এই ফি স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর জন্য বোঝা স্বরূপ।
যুক্তরাজ্যের প্রায় ৬০০টি স্কুলে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করা হতো। এটি মূলত স্কুলের খাবার ও অন্যান্য খরচের জন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করত।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষ শিশু এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিল। অর্থনৈতিক কারণে ব্যবসাটি টেকসই না হওয়ায় কোম্পানিটি তাদের পরিষেবা বন্ধ করে দেয়।
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষকে অর্থ পরিশোধের এই ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করার ফলে একদিকে যেমন সুবিধা হয়েছিল, তেমনি এখন অবশিষ্ট টাকা ফেরত পেতে অতিরিক্ত ফি দিতে হচ্ছে। অনলাইন ফোরামগুলোতেও অনেকে এই ফি’র যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাদের মতে, পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও এই ধরনের ফি ধার্য করা কতটা সঙ্গত?
স্কুইডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের শর্ত অনুযায়ী এই ফি নেওয়া হচ্ছে। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) অ্যাডাম স্মিথ বলেছেন, “আমরা একটি ব্যবসা পরিচালনা করি এবং আমাদের কিছু খরচ রয়েছে।
আমরা ব্যবসাটি বন্ধ করছি কারণ এটি লাভজনক ছিল না। আমাদের কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে এবং আমরা সেগুলো মেনেই কাজ করছি।
যদিও কত টাকা এখনো গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা আছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি স্কুইড কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে স্কুইড আফ্রিকা মহাদেশে মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য পেমেন্ট প্রযুক্তি সরবরাহ করে যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান