যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে এক প্রাক্তন স্কুল কর্মীকে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্রায়ান ওয়ের নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজের শিশুকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ধারণ ও তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
খবর সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মোট ১১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাফোক কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৪০ বছর বয়সী ব্রায়ান ওয়ের আগে লিনডেনহার্স্ট স্কুল জেলার একজন কর্মচারী ছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, তিনি শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে তা অনলাইনে আপলোড করতেন।
তদন্তকারীরা জানান, গত ৩০শে এপ্রিল, সাফোক কাউন্টি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ডিজিটাল ফরেনসিক ইউনিট একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। এরপর তারা ওয়েরের বাড়ি থেকে তার মোবাইল ফোন জব্দ করে।
ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায়, ফোনে শিশুদের যৌন নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ভিডিও ও ছবি ছিল।
অভিযোগের ভিত্তিতে, ওয়েরকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন কাজে ব্যবহার করা, শিশুদের যৌন নির্যাতনের ভিডিও তৈরি ও প্রচার করা, শিশু নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই অপরাধের জন্য তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। বর্তমানে তিনি প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বন্ডে আটক আছেন।
বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ৫২ কোটি টাকার বেশি (বিনিময় হার অনুসারে)। আগামী ২০শে জুন তার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর, লিনডেনহার্স্ট ইউনিয়ন ফ্রি স্কুল ডিস্ট্রিক্ট এক বিবৃতিতে জানায়, অভিযুক্ত ব্রায়ান ওয়ের ২০২১ সাল থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন না।
যদি কারো কাছে এই মামলার বিষয়ে কোনো তথ্য থাকে, তবে তারা সাফোক কাউন্টি ডিজিটাল ফরেনসিক ইউনিটের সাথে ৬৩১-৮৫২-৬২৭৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
শিশু নির্যাতন একটি গুরুতর অপরাধ। আমাদের সমাজে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে, এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং শিশুদের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হতে হবে।
বাংলাদেশেও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোনো শিশুর প্রতি নির্যাতনের ঘটনা দেখলে, দেরি না করে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন অথবা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
তথ্য সূত্র: পিপল