আতঙ্কে স্কটল্যান্ড! ভয়াবহ দাবানলে উড়ছে ধোঁয়া, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের

যুক্তরাজ্যে তীব্র গরমের কারণে স্কটল্যান্ডে দাবানল, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বহু মানুষকে।

যুক্তরাজ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে স্কটল্যান্ডে ভয়াবহ দাবানল দেখা দিয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে গ্যালোওয়ে থেকে শুরু হয়ে আগুন দ্রুত উত্তরে, ইস্ট আয়ারশায়ারে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ ওয়াকার ও ক্যাম্পারদের এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে।

শুক্রবার নিউটন স্টুয়ার্ট এলাকা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর বাতাসের দিক পরিবর্তনের ফলে তা লচ ডুন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরের জানালা ও দরজা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে বলেছে।

গ্যালোওয়ে মাউন্টেন রেসকিউয়ের দলনেতা বিবিসি স্কটল্যান্ডকে জানান, দমকল কর্মীরা আকাশ থেকে আগুন নেভানোর জন্য চারটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন। একসময় আগুনের বিস্তার কয়েক মাইল পর্যন্ত ছিল।

এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দাবানলের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। স্কটিশ ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ‘চরম ঝুঁকি’ রয়েছে। জনসাধারণকে উন্মুক্ত স্থানে আগুন বা বারবিকিউ করা থেকে বিরত থাকতে এবং সিগারেটের ছাই ও কাঁচের বোতল নিরাপদ স্থানে ফেলতে বলা হয়েছে।

এদিকে, হাইল্যান্ডসে উল্লাপুলের উত্তরে আরেকটি দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এর ফলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে দৃশ্যমানতা কমে গেছে। দমকলের ছয়টি দল প্রায় ৭০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে পৌঁছেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩ মাইলের বেশি এলাকাজুড়ে আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে এবং বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী পুরো এলাকা ঢেকে দিয়েছে।

অন্যদিকে, রবিবার সকালে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে শনিবারের ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

দমকল বিভাগের প্রধানদের মতে, হিলটাউনের স্যান্ডব্যাঙ্ক রোডে শনিবার একশ জনের বেশি দমকল কর্মী ও ১৫টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল।

নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, আগুনে প্রায় ২ মাইল এলাকা পুড়ে গেছে, যার মধ্যে বনাঞ্চলের একটি বড় অংশও রয়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *