১২ বছর পর: অভিনেতা স্কট পোর্টারের সফল দাম্পত্য জীবনের আসল রহস্য!

স্কট পোর্টার, যিনি ‘গিনি অ্যান্ড জর্জিয়া’ এবং ‘ফ্রাইডে নাইট লাইটস’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি সিরিজে অভিনয় করেছেন, সম্প্রতি তাঁর দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবন নিয়ে কথা বলেছেন।

তাঁর মতে, ১২ বছরের বিবাহিত জীবন এবং তার আগে প্রেম মিলিয়ে ১৬ বছর ধরে তিনি তাঁর স্ত্রী কেলসি মেইফিল্ডের সঙ্গে যে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছেন, তার মূল চাবিকাঠি হলো দু’জনের মধ্যেকার গভীর বোঝাপড়া ও সহযোগিতা।

একটি জনপ্রিয় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানে (NAMI Mental Health Gala) তিনি এই বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। তিনি জানান, তাঁদের সম্পর্কের সাফল্যের মূল ভিত্তি হলো— একে অপরের প্রতি সমর্থন ও একসঙ্গে পথ চলা।

পোর্টার বলেন, “আসলে, ভালো একজন জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়াটাই আসল। কেলসি সবসময় আমাকে সাহস জুগিয়ে যায়।

আমার যখন দরকার হয়, তখন সে পাশে থাকে। আমরা সবসময় নিজেদের মধ্যে কথা বলি, কেমন আছি জানতে চাই।

কারও যদি একটু বেশি সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে অন্যজন এগিয়ে আসে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এভাবেই একে অপরের পাশে আছি।”

পোর্টারের ভাষ্যে, কেলসি তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর ভাষায়, “আমার ক্যারিয়ারের সাফল্যের পেছনে কেলসির অবদান অনস্বীকার্য।

আমাদের সন্তান— ম্যাককয় ও ক্লোভারের সুন্দর ভবিষ্যৎ— তাদের সঠিকভাবে দেখাশোনা করা— সবকিছুতেই আমরা দু’জন একসঙ্গে কাজ করি।”

পোর্টার ও কেলসির দুটি সন্তান রয়েছে। তাঁদের প্রথম সন্তান ম্যাককয় ২০১৫ সালে এবং দ্বিতীয় সন্তান ক্লোভার ২০১৭ সালে জন্ম নেয়।

পোর্টার আরও জানান, তিনি ভাগ্যবান যে অভিনয়ের মতো একটি পেশায় যুক্ত আছেন, যেখানে কাজের সময়টা বাদে তিনি পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন।

তিনি বলেন, “আমি যখন কাজ করি, তখন পুরোদমে কাজ করি। কিন্তু বাড়িতে থাকলে আমি আমার পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গেই সময় কাটাই।

আমার মনে হয়, এই বিষয়গুলো আমাদের সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে তোলে।”

বর্তমানে, স্কট পোর্টার ‘গিনি অ্যান্ড জর্জিয়া’-র তৃতীয় সিজনে মেয়র পল র‍্যান্ডলফের চরিত্রে অভিনয় করছেন, যা আগামী ৫ই জুন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে।

নেটফ্লিক্স হলো একটি জনপ্রিয় অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সিনেমা ও টিভি সিরিজ দেখা যায়।

একটি সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্মান ও সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম।

বাংলাদেশের সংস্কৃতিতেও পরিবারের বন্ধন এবং ভালোবাসার গুরুত্ব অনেক বেশি।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *