বিখ্যাত দুই ক্রাইম লেখক: আইন, ন্যায়বিচার ও ভবিষ্যতের গল্প নিয়ে আলোচনা
আইন ও অপরাধ জগতের দুই দিকপাল, স্কট টুrow এবং লরেন্স রাইট, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁদের কাজের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁদের নতুন বই, যথাক্রমে ‘প্রিজুমড গিলটি’ ও ‘দ্য হিউম্যান স্কেল’, আইন, মানুষের সম্পর্ক, এবং বর্তমান সময়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোকপাত করে।
স্কট টুrow, যিনি ‘প্রিজুমড ইনোসেন্ট’-এর মতো বহুল-আলোচিত বইয়ের লেখক, আইনের প্রতি নিজের আকর্ষণের কথা বলতে গিয়ে একে ‘ভালো একটি বিবাহের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর মতে, আইন মানুষের জীবনে কিছুটা হলেও যুক্তিবোধ আনতে সাহায্য করে। তিনি জানান, আইনের প্রতি তাঁর এই মুগ্ধতা তৈরি হয়েছিল ল’ স্কুলে পড়াকালীন সময়ে।
অন্যদিকে, পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী লরেন্স রাইট, যিনি সাংবাদিকতা ও নাটক লেখার পাশাপাশি কল্পকাহিনীতেও হাত পাকিয়েছেন, তাঁর নতুন বই ‘দ্য হিউম্যান স্কেল’-এর প্রেক্ষাপট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে।
সাক্ষাৎকারে উঠে আসে লেখকের জীবন ও কর্মের নানা দিক। টুrow জানান, লেখক হওয়ার স্বপ্ন তাঁর ছোটবেলা থেকেই। তিনি বলেন, বই পড়া যদি এত আনন্দের হয়, তবে লেখা নিশ্চয়ই আরও বেশি আনন্দের।
অন্যদিকে, রাইট তাঁর বিভিন্ন ধরনের লেখার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে জানান, গল্প বলার মাধ্যম হিসেবে প্রত্যেকটির নিজস্ব আকর্ষণ ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
আলোচনায় উঠে আসে তাঁদের নতুন বই দুটির বিষয়বস্তুও। টুrow-এর ‘প্রিজুমড গিলটি’ বইটিতে প্রধান চরিত্র রুস্টি সাবিচের বার্ধক্য ও জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লেখক জানান, এই চরিত্রে তিনি তাঁর নিজের জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
রাইটের ‘দ্য হিউম্যান স্কেল’ বইটিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মানবিক দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। রাইট মনে করেন, উপন্যাসের মাধ্যমে অন্য মানুষের চোখে জগৎটাকে দেখার সুযোগ তৈরি হয়, যা ঘৃণা দূর করতে সহায়ক হতে পারে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে, লেখকদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)। টুrow মনে করেন, AI এখনো পর্যন্ত সাহিত্যের ক্ষেত্রে মৌলিকত্ব সৃষ্টি করতে পারেনি, তবে এটি লেখকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
কারণ, AI বিনামূল্যে বই তৈরি করতে পারে, যা পাঠকদের আসল বই থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে।
দুই লেখকের এই আলোচনায় আইন, ন্যায়বিচার, সমাজের বিভিন্ন দিক এবং ভবিষ্যতের গল্প বলার ধরন নিয়ে গভীর আলোচনা করা হয়েছে। তাঁদের কাজ বর্তমান সময়ের জটিলতা ও মানুষের সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি।
তথ্য সূত্র: পিপল