বিখ্যাত অভিনেতা স্কট ওল্ফের পরিবারে মনোমালিন্যের খবর পাওয়া গেছে, যা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৩ই জুন, শুক্রবার, স্কট ওল্ফের ইউটাহ-এর পার্ক সিটি-র বাড়িতে একটি পারিবারিক ঝামেলার কারণে ৯১১ নম্বরে ফোন করা হয়। এই ঘটনার দিনই তার স্ত্রী কেলি ওল্ফকে পুলিশ আটক করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সংবাদ সংস্থা পিপল-এর সূত্র অনুযায়ী, ঘটনার কয়েক দিন আগে স্কট ও কেলির বিবাহ বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসে। ২১ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর তাদের আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঘটনার দিন কেলি তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি ভিডিও আপলোড করেন, যেখানে তাকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা যায়। ভিডিওটিতে তিনি বলেন, “এটা লজ্জাজনক, ভদ্রমহোদয়গণ। এটা হতে পারে না।”
পিপল ম্যাগাজিন আরও জানিয়েছে, কেলিকে আটকের পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইউটাহ কাউন্টি শেরিফের দপ্তর জানায়, কেলি তার পরিবারের এক সদস্যের কাছে কিছু উদ্বেগজনক মন্তব্য করেছিলেন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গেও একই ধরনের কথা বলেন।
এই কারণেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেলির একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে হাসপাতালের একটি ছবি দেখা যায়, যেখানে তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছিল। তিনি লেখেন, “আমাকে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে এখানে আনা হয়েছে।
দয়া করে আমার সন্তানদের খেয়াল রাখবেন। আমি খুশি! আগে কখনও এত সুখী ছিলাম না।”
পরে, স্কট ও কেলির বন্ধু বিলি বুশ একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে জানান, কেলিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে কথা বলেছি।
তার চমৎকার অভিভাবক আছেন, যারা বিষয়টি দেখছেন। কেলি একজন অসাধারণ মানুষ, এবং স্কটও তাই।”
এই ঘটনার সূত্র ধরে অনেকে দীর্ঘ দাম্পত্য সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল