দরিদ্রতা ও হাস্যরস: এক অভিনব নাটকে!

“স্ক্র্যাপস” : শ্রেণী বিভাজন আর জীবনযাত্রার খরচ নিয়ে এক ভিন্ন ধারার নাটক

বর্তমান সমাজে শ্রেণী বৈষম্য এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান খরচ – এই বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি, এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের একটি মঞ্চনাটক বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যার নাম “স্ক্র্যাপস”।

নাটকটি মূলত দুজন নারীর গল্প বলে, যারা ভিন্ন সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে উঠে এসেছে। তাদের জীবনযাত্রা, স্বপ্ন, এবং সমাজের চোখে তাদের অবস্থান – এই সবকিছুই নাটকের মূল বিষয়।

নাটকের দুই প্রধান চরিত্র ডেইজি ও মিয়া। এদের একজন আসে শ্রমজীবী পরিবার থেকে, অন্যজন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে।

তাদের ভাবনা, রুচি, এবং জীবন ধারণের ধরনে রয়েছে ভিন্নতা। নাটকটিতে কৌতুক, গান, নৃত্য এবং মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার করা হয়েছে, যা দর্শকদের আকৃষ্ট করে।

“স্ক্র্যাপস” শ্রেণীগত ধারণা এবং অর্থনৈতিক সংকটকে হাস্যরসের মোড়কে পরিবেশন করে।

নাটকটিতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে আজকের তরুণ প্রজন্ম পুঁজিবাদের কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করছে। তাদের বাসস্থান, চাকরির নিরাপত্তা, অথবা সামান্য মজুরিতে জীবন ধারণের মতো বিষয়গুলো এখানে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

ডেইজি ও মিয়া, তারা নিজেরাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা দর্শকদের কাছে নাটকটিকে আরও বেশি বাস্তব করে তোলে।

নাটকটি শুধুমাত্র একটি বিনোদনমূলক পরিবেশনা নয়, বরং সামাজিক সম্পর্ক, সুযোগের অভাব এবং ধনী-দরিদ্রের মধ্যেকার পার্থক্য নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

“স্ক্র্যাপস”-এর নির্মাতারা সমাজের কিছু প্রচলিত ধারণা এবং দুর্বলতাকে ব্যঙ্গ করেছেন, যা দর্শকদের মধ্যে আলোচনা তৈরি করতে সহায়তা করে।

যদিও নাটকটিতে কিছু দুর্বলতা রয়েছে, তবে এর বিষয়বস্তু এবং উপস্থাপনা দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।

বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকট একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশেই মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে।

“স্ক্র্যাপস” নাটকের বিষয়বস্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও বেশ প্রাসঙ্গিক, যেখানে অর্থনৈতিক বৈষম্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের কারণ।

নাটকটি, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্যগুলো তুলে ধরে এবং সেই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *