ট্রাম্পের বিরুদ্ধে: গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুখ খুললেন রিপাবলিকান সিনেটর!

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর জন কার্টিস, যিনি সাধারণত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে পরিচিত, গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যুতে তাঁর থেকে ভিন্নমত পোষণ করে সংবাদে এসেছেন। তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করাটাও তাঁর সাফল্যের জন্য জরুরি।

এই প্রসঙ্গে, তিনি ছোট ব্যবসার উপর শুল্কের প্রভাব, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সরকারের ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

উতাহ অঙ্গরাজ্যের এই সিনেটর মনে করেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশের স্বার্থ সবার আগে। তিনি মনে করেন, ট্রাম্পকে সফল করতে হলে তাঁর ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে হবে।

কার্টিস বলেন, “আমরা প্রেসিডেন্টের প্রতি সবচেয়ে ভালো কাজ করি, যখন আমরা একটি পরিচালনা পর্ষদের মতো কাজ করি।” তাঁর মতে, কোনো কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ যেমন প্রেসিডেন্টের সব সিদ্ধান্ত অন্ধভাবে সমর্থন করে না, তেমনই জনপ্রতিনিধিদেরও সব বিষয়ে একমত হওয়া উচিত নয়।

সিনেটর কার্টিস মনে করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে দলীয় কর্মীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তায় কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং, তিনি মনে করেন, ট্রাম্প তাদের সম্মান করেন যারা সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক স্থানে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।

তিনি উল্লেখ করেন, যারা কঠোর সমালোচনা করেন, ট্রাম্প তাদের ভালোভাবে গ্রহণ করেন না।

ছোট ব্যবসার উপর শুল্কের প্রভাব সম্পর্কে কার্টিসের উদ্বেগের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি মনে করেন, এই শুল্ক নীতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

তিনি সম্প্রতি ইউক্রেন ইস্যুতেও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বন্ধু হিসেবে মানতে নারাজ।

এছাড়াও, কার্টিস মনে করেন, জরুরি পরিস্থিতিতে আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করার অধিকার সংক্রান্ত ‘হ্যাবিয়াস কর্পাস’ স্থগিত করার আগে ট্রাম্প প্রশাসনের কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এমন কোনো পদক্ষেপ ভবিষ্যতে অন্য কোনো প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণ হতে পারে।

সিনেটর কার্টিস মনে করেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একজন জনপ্রতিনিধির স্বাধীনভাবে চিন্তা করার এবং কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তিনি তাঁর অঙ্গরাজ্যের মানুষের স্বার্থকে সবার উপরে রাখতে চান এবং তাঁদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকতে চান।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *