ফিতা পনির: গ্রিসের স্বাদ, বাংলাদেশের বাজারে?
সাধারণত গ্রিক সালাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ফিতা পনিরের (Feta Cheese) নাম শোনা যায়। নোনতা, টক স্বাদযুক্ত এই সাদা পনিরটি ভেড়া বা ছাগলের দুধ থেকে তৈরি করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর ‘প্রটেক্টেড ডেজিগনেশন অফ অরিজিন’ (PDO) অনুযায়ী, ফিতা পনির হতে হলে তা অবশ্যই গ্রিসে তৈরি হতে হবে।
যদিও ফিতা পনির আমাদের দেশে খুব পরিচিত নয়, বর্তমানে কিছু সুপারমার্কেট ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এটি পাওয়া যেতে পারে। এটি সাধারণত সালাদে, পাস্তার সাথে, পাই বা মিষ্টি জাতীয় খাবারে ব্যবহার করা হয়। যারা ভিন্ন স্বাদের খাবার ভালোবাসেন, তারা ফিতা পনিরের স্বাদ নিতে পারেন।
যুক্তরাজ্যের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফিতা পনির পাওয়া যায়। এই পনিরগুলোর স্বাদ, নোনতা ভাব ও ক্রিমি টেক্সচারের ভিন্নতা রয়েছে। আসুন, যুক্তরাজ্যের কিছু ফিতা পনিরের পরিচিতি জেনে নেওয়া যাক, যা হয়তো বাংলাদেশেও খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
- অ্যাটিস টোটালি গ্রিক ফিতা (Attis Totally Greek Feta): এই পনিরটি ক্রিমি এবং খুব বেশি টক নয়। মিষ্টি বা ডেজার্টের জন্য এটি ভালো।
- ওডিসিয়া অর্গানিক ফিতা (Odysea Organic Feta): এটি স্বাদে পরিপূর্ণ: ক্রিমি, টক ও নোনতা। তরমুজের সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে।
- কলিওস অথেন্টিক ফিতা (Kolios Authentic Feta): এটি ভালো মানের একটি পনির। ক্রিমি এবং শক্ত, দামেও সাশ্রয়ী।
- সেইন্সবারির গ্রিক ফিতা (Sainsbury’s Greek Feta): এই পনিরটি বেশ ক্রিমি এবং স্বাদে খুব তীব্র নয়। এটি ডেজার্ট বা ডিপ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যুক্তরাজ্যের বাজারে ফিতা পনিরের দাম ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ব্র্যান্ডের ফিতা পনিরের দাম সেখানে প্রায় ২.৬৯ পাউন্ড (ব্রিটিশ মুদ্রা), যা বাংলাদেশি টাকায় (আনুমানিক) ৩৫০ টাকার মতো। বাংলাদেশে এই পনির পাওয়া গেলে দাম আরও বেশি হতে পারে।
ফিতা পনির বাংলাদেশের খাবারের সাথেও মানানসই হতে পারে। সালাদে যোগ করে, অথবা নান রুটির সাথে পরিবেশন করে এর স্বাদ নেওয়া যেতে পারে। স্বাদ ভিন্ন করতে চাইলে, শসা ও টমেটোর সালাদে সামান্য ফিতা পনির, লেবুর রস এবং শুকনো মরিচের গুঁড়ো যোগ করা যেতে পারে।
তবে, মনে রাখতে হবে, ফিতা পনির বাংলাদেশে সহজলভ্য নাও হতে পারে। এটি বিশেষ দোকান বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যেতে পারে। বাজারে উপলব্ধতার ভিত্তিতে, আপনি আপনার পছন্দের ফিতা পনির বেছে নিতে পারেন।