ষাটোর্ধ্ব জীবনে যৌনজীবন: অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির কথা।
সংস্কৃতিগতভাবে, যৌনতাকে প্রায়শই তরুণ এবং আকর্ষণীয় মানুষের উপভোগ করার বিষয় হিসেবে চিত্রিত করা হয়। বাস্তবে, বিষয়টি তেমন নাও হতে পারে।
অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌনজীবনেও পরিবর্তন আসে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন এজিং (এনআইএ)-এর মতে, অনেক বয়স্ক দম্পতি তাঁদের যৌনজীবনে আগের চেয়ে বেশি সন্তুষ্টি খুঁজে পান।
এর সম্ভাব্য কিছু কারণ হলো: বয়স্ক দম্পতিদের জীবনে এখন অনেক কম বিক্ষিপ্ততা থাকে, কারণ ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে যায় এবং তাদের নিজেদের জীবন তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাছাড়া, এখন তাঁদের হাতে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় থাকে এবং গোপনীয়তা রক্ষার সুযোগও বাড়ে।
এছাড়াও, এখন তাঁরা তাঁদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আরো ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেন।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে ষাটোর্ধ্ব মানুষের কাছে, তাঁদের যৌনজীবন কিভাবে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে এবং উন্নত হয়েছে। কারো কারো অভিজ্ঞতা হয়তো অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।
দাম্পত্য জীবনে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে, বাড়ে একে অপরের প্রতি নির্ভরতা ও বোঝাপড়া। অনেক ক্ষেত্রে, শারীরিক সম্পর্কের চেয়ে মানসিক ও আবেগগত ঘনিষ্ঠতাই বেশি গুরুত্ব পায়।
তবে, এই পরিবর্তনগুলো ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কারো কাছে যৌনজীবন আগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ থাকতে পারে, আবার কারো কাছে এর গুরুত্ব কমে যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই বয়সে দম্পতিরা একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন এবং তাঁদের শারীরিক ও মানসিক চাহিদাগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করবেন। পারস্পরিক সম্মান, বোঝাপড়া এবং ভালোবাসাই হলো একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি, যা বয়সের সঙ্গে আরো গভীর হতে পারে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান