স্কটল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এসএফএ) তাদের নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে, ট্রান্সজেন্ডার নারীরা আর মেয়েদের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলতে পারবে না।
এই সিদ্ধান্ত আগামী ফুটবল মৌসুম থেকে কার্যকর হবে এবং ১৩ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে।
বর্তমানে, এসএফএ’র নিয়ম অনুযায়ী, ট্রান্সজেন্ডার নারীরা তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বিবেচনা করে মেয়েদের ফুটবল খেলতে পারতেন। তবে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছে, যেখানে ‘নারী’ শব্দের সংজ্ঞায় শুধুমাত্র জৈবিক নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই রায়ের পরেই এসএফএ তাদের পুরনো নীতি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এসএফএ’র এই সিদ্ধান্তের ফলে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, স্কটল্যান্ড সরকার ইতিমধ্যেই ‘নারী’ শব্দটির সংজ্ঞা আরও বিস্তৃত করেছে, যেখানে ট্রান্সজেন্ডার নারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে তাদের নীতি পরিবর্তনের আগে মানবাধিকার কমিশনের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করতে আহ্বান জানিয়েছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার জন সুইনি।
অন্যদিকে, ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) এখনো পর্যন্ত ট্রান্সজেন্ডার নারীদের মেয়েদের ফুটবলে খেলার অনুমতি দিচ্ছে, তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে।
তাদের নিয়ম অনুযায়ী, ট্রান্সজেন্ডার নারীদের ১২ মাস ধরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম রাখতে হয়। বর্তমানে, ইংল্যান্ডে প্রায় ২০ জন ট্রান্সজেন্ডার ফুটবলার এই নিয়মের অধীনে খেলছেন।
এফএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা তাদের নীতি পর্যালোচনা করছে এবং আইনি পরামর্শও নিচ্ছে।
বর্তমানে, স্কটল্যান্ডে মেয়েদের ফুটবলে কোনো ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড় নিবন্ধিত নেই।
এসএফএ ভবিষ্যতে এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য নতুন পরিকল্পনা তৈরি করছে বলেও জানা গেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান