আবেগঘন ম্যাচে শাই গিলজিয়াস-আলেকজান্ডারের চোখে জল!

শিরোনাম: এনবিএ প্লে-অফে চাচাতো ভাইদের লড়াই: একটি পরিবারের গর্ব এবং একটি স্বপ্নের বাস্তব রূপ।

খেলাধুলা জগতে এমন ঘটনা সত্যিই বিরল, যেখানে দুই চাচাতো ভাই বাস্কেটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছেন। এই বিরল দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ)-এর প্লে-অফে।

ওকলাহোমা সিটি থান্ডারের হয়ে খেলেন শাই গিলজেস-আলেক্সান্ডার, এবং মিনেসোটা টিম্বারওলভসের হয়ে খেলেন তার চাচাতো ভাই, নিকিল আলেকজান্ডার-ওয়াকার।

এই দুই খেলোয়াড়ের বেড়ে ওঠা কানাডার হ্যামিলটনে। তারা ছোটবেলায় একসঙ্গে বড় হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক বিদ্যমান।

বাস্কেটবল খেলার প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং একসঙ্গে খেলার স্বপ্ন ছিল সবসময়। সেই স্বপ্নকে সত্যি করে তারা আজ এনবিএ-এর মতো জনপ্রিয় একটি টুর্নামেন্টে মুখোমুখি।

শাই গিলজেস-আলেক্সান্ডার বর্তমানে ওকলাহোমা সিটির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এবং এই বছরের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার (এমভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে, নিকিলও মিনেসোটা টিম্বারওলভসের হয়ে দারুণ খেলছেন।

তিনি দলের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। প্লে-অফের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, তাদের একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নামাটা যেন এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

এই সিরিজ শুরুর আগে শাই জানিয়েছিলেন, “যদি আপনারা আমাদের সম্পর্কের গভীরতা জানেন, তাহলে বুঝবেন এটা বুঝিয়ে বলা কঠিন। সে আমার দ্বিতীয় ভাইয়ের মতো। আমরা জীবনের প্রতিটি ধাপে একসঙ্গে ছিলাম।”

খেলার সময় তারা একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে মাঠের বাইরে তাদের সম্পর্ক অটুট থাকে।

বর্তমানে, প্লে-অফের এই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে ওকলাহোমা সিটি ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে। অর্থাৎ, তাদের ফাইনালের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

খেলার ফলাফলের চেয়েও বড় বিষয় হলো, তাদের পরিবারের জন্য এই মুহূর্তটি গর্বের। শাইয়ের বাবা এবং নিকিলের চাচা, ভন আলেকজান্ডার, খেলাটি উপভোগ করার সময় বলেছিলেন, “মনে হচ্ছে যেন ঘুম থেকে উঠে নিজেকে চিমটি কাটতে ইচ্ছে করছে, এই স্বপ্নটা সত্যি কিনা দেখার জন্য।”

সোমবারের খেলায় ওকলাহোমা সিটি ১২৮-১২৬ পয়েন্টে জয়লাভ করে। খেলা শেষে শাই বলেছিলেন, “আমরা সারা জীবন ধরে এমন মুহূর্তের স্বপ্ন দেখেছি, এবং এটা বাস্তবে রূপ নেওয়াটা সত্যিই অসাধারণ।”

এই প্লে-অফ শেষে, তাদের খেলার স্মৃতিগুলো নিশ্চয়ই অনেকদিন ধরে আলোচনা হবে, যা তাদের পরিবারের জন্য অমূল্য এক সম্পদ।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *