অভিনেত্রী শারন ডি ক্লার্ক: ‘কাজ পেতে অনেককে দেশ ছাড়তে হয়েছে’, বিস্ফোরক মন্তব্য!

শেয়ারন ডি ক্লার্ক: ব্রিটিশ অভিনেত্রী, বর্ণবৈষম্য এবং অভিনয়ের জগৎ।

ব্রিটিশ অভিনেত্রী শেয়ারন ডি ক্লার্ক বর্তমানে দারুণ আলোচিত। সম্প্রতি তিনি বিবিসি-র ‘মি: লাভারম্যান’ -এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য বাফটা-র মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা, অভিনয়ের জগতে বৈচিত্র্যের অভাব এবং আরও অনেক বিষয় নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন।

৫৮ বছর বয়সী ক্লার্ক, যিনি তিন দশক ধরে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত, ওয়েস্ট এন্ড-এ তাঁর কাজের জন্য সুপরিচিত। ‘হোলবি সিটি’ -র মতো জনপ্রিয় টিভি সিরিজেও তিনি অভিনয় করেছেন। তাঁর বাফটা মনোনয়ন পাওয়া ‘মি: লাভারম্যান’ ছবিতে তিনি কারমেল চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি তাঁর স্বামীর গোপন জীবন সম্পর্কে অবগত হন। স্বামী ব্যারিটনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন লেনি জেমস।

‘মি: লাভারম্যান’-এর মতো গল্প বলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ক্লার্ক বলেন, “ব্যারিটনের গল্পটা আমার নিজেরও হতে পারত। আমি যখন ‘প্রকাশ্যে’ এসেছিলাম, তখন অনেক বন্ধুকে হারিয়েছি। এমন একটি অনুষ্ঠানে কাজ করতে পারা, যা ক্যারিবীয় সম্প্রদায়ের মানুষের লুকানো জীবন ফুটিয়ে তোলে, আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

অভিনয়ের জগতে বৈচিত্র্যের অভাব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্লার্ক জানান, “আমি এমন অনেক সেটে কাজ করেছি, যেখানে আমিই ছিলাম একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ। অনেক প্রতিভাবান কৃষ্ণাঙ্গ ব্রিটিশ অভিনেতা-অভিনেত্রীকে কাজের সুযোগের জন্য যুক্তরাজ্য ছাড়তে হয়েছে। এমনকি ইদ্রিস এলবার মতো তারকারও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে।”

‘হোলবি সিটি’ -র বাজেট কমানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টাকা-পয়সার সমস্যা এখন সব জায়গাতেই। তবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পাশাপাশি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোও জরুরি। টেলিভিশনের মাধ্যমে সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যায়, যা পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে দেখতে পারে। এর মাধ্যমে শিশুদের যেমন শিক্ষা দেওয়া যায়, তেমনি তাদের কাছ থেকেও অনেক কিছু শেখা যায়।”

শেয়ারন ডি ক্লার্ক তাঁর কাজের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তাঁর অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতা এবং সমাজের প্রতি তাঁর সচেতনতা, উভয়ই দর্শকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *