**যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল: পঞ্চম রাউন্ডে ক্লিভল্যান্ড ব্রাউনসে শডুর স্যান্ডার্স**
যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার ফুটবল লিগ, এনএফএল-এর খসড়া বা প্লেয়ার বাছাই প্রক্রিয়ায় অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কোয়ার্টারব্যাক (ফুটবল খেলার আক্রমণভাগের পরিচালক) শডুর স্যান্ডার্সকে দলে ভেড়ালো ক্লিভল্যান্ড ব্রাউন্স। পঞ্চম রাউন্ডে ১৪৪তম বাছাই হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
এই বাছাই প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ অপ্রত্যাশিত। কেননা, খেলোয়াড় হিসেবে স্যান্ডার্সের ভালো সম্ভাবনা ছিল এবং অনেকেই ধারণা করেছিলেন তিনি আরও আগে নির্বাচিত হবেন। ২০২৩ সালের বিগ ১২ অফেন্সিভ প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত হওয়া স্যান্ডার্সের জন্য দল নির্বাচনে এত দেরি হওয়াটা অনেকের কাছেই অবাক লেগেছে।
খসড়ায় নিজের নাম ঘোষণার পর উচ্ছ্বসিত স্যান্ডার্স সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুভূতির কথা জানান। তিনি বিষয়টিকে ‘নিখুঁত সময়’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “আমরা সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখি।
আমরা জানি, জীবনে অনেক কিছুই ঘটে। প্রতিকূলতা আসতেই পারে। সবসময় ইতিবাচক থাকতে হবে এবং খুশি থাকতে হবে। কারণ আমরা জানি, সৃষ্টিকর্তা আমাদের সঙ্গে আছেন। তাই আমি খুব একটা বিচলিত ছিলাম না, কারণ আমি বুঝতে পারছিলাম, এটা আসলে উপযুক্ত সময়ের ব্যাপার।”
ব্রাউন্সের জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড্রু বেরি জানান, স্যান্ডার্সকে এত দেরিতে পাওয়া যাবে, এটা তারা আশা করেননি। তবে তিনি আরও যোগ করেন, দলের প্রতিটি পজিশনের জন্য তারা খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতা চান। খেলোয়াড় বাছাইয়ের এই প্রক্রিয়াকে তিনি ‘বিপ্লব’ বলতে নারাজ হলেও, স্যান্ডার্সের সঙ্গে কাজ করতে তারা যে আগ্রহী, সে কথা জানান।
এর আগে, প্রথম রাউন্ডে খেলোয়াড় বাছাইয়ে সবার আগে মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যাম ওয়ার্ড এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে লুইসভিলের টাইলার শোগ-এর মতো খেলোয়াড়দের নাম ঘোষণা করা হয়।
শডুর স্যান্ডার্সের বাবা, প্রখ্যাত ফুটবলার ডিওন স্যান্ডার্সও খেলোয়াড় জীবনে দারুণ পরিচিতি লাভ করেছেন। বাবার তত্ত্বাবধানেই তিনি তার কলেজ ক্যারিয়ার সম্পন্ন করেছেন।
তিনি এর আগে জ্যাকসন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে খেলেছেন। কলোরাডোতে আসার আগে ২০১৬ সালে তিনি হাই স্কুল থেকে চার-তারকা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
কলোরাডোর হয়ে খেলার সময় স্যান্ডার্স বেশ ভালো পারফর্ম করেছেন। গত বছর তিনি দলকে ৯-৪ ব্যবধানে জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়া, তিনি ৪,১৩৪ গজ পথ পাড়ি দিয়ে, ৩৭টি টাচডাউন এবং ১০টি ইন্টারসেপশন করেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন