মার্কিন ফুটবল খেলোয়াড় বাছাইয়ের আসরে অপ্রত্যাশিত ফল, পিছিয়ে পড়লেন শেইডুর স্যান্ডার্স।
প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (এনএফএল)-এর খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়া, যা ‘ড্রাফট’ নাম পরিচিত, সেখানে এবার একটি বড় ধরনের চমক দেখা গেছে। খেলোয়াড় বাছাইয়ের চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে শেইডুর স্যান্ডার্সকে, যিনি মূলত প্রথম সারিতেই নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রাখতেন।
কিন্তু তার বদলে, অন্য পাঁচজন কোয়ার্টারব্যাককে (ফুটবল দলের আক্রমণভাগের পরিচালক) তার আগেই দলে নেওয়া হয়েছে।
শেইডুর, যিনি একসময় কলেজ ফুটবলে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন, মূলত তার বাবা ডিয়ন স্যান্ডার্সের জন্য আলোচনায় আসেন। ডিয়ন একসময় পেশাদার ফুটবলে খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং বর্তমানে তিনি খেলোয়াড় তৈরির সঙ্গে যুক্ত।
ডিয়ন খেলোয়াড় জীবনে দারুণ সাফল্য অর্জন করেছেন এবং পরবর্তীতে কোচিংয়েও নাম লিখিয়েছেন। বাবার পরিচয়ের সুবাদে শেইডুরও বেশ পরিচিতি পান।
খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ভালো পারফর্ম করেছেন এবং এমনকি ‘হেইসম্যান ট্রফি’র জন্য মনোনয়নও পেয়েছিলেন।
কিন্তু ড্রাফটে তার পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে কিছু বিষয় উঠে এসেছে। বিশ্লেষকদের মতে, খেলার মাঠে তিনি বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের দ্বারা ‘স্যাকড’ হয়েছিলেন।
এছাড়া, তার শারীরিক শক্তি এবং বাবার তত্ত্বাবধান ছাড়া অন্য কারো অধীনে খেলার ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। অনেকের ধারণা, তার পরিচিতির কারণে দলগুলো হয়তো তাকে ব্যাকআপ খেলোয়াড় হিসেবে রাখতে দ্বিধা বোধ করতে পারে।
ড্রাফটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডেও যখন তার নাম ঘোষণা করা হয়নি, তখন অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। নিউ ইয়র্ক জায়ান্টস দল হয়তো তাকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা অন্য একজন খেলোয়াড়কে বেছে নেয়।
নিউ অরলিন্স সেইন্টসও কোয়ার্টারব্যাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শেইডুরের বদলে অন্য একজন খেলোয়াড়কে বেছে নেয়।
অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে সিয়াটল সিহক্স, ক্লিভল্যান্ড ব্রাউনস এবং পিটসবার্গ স্টিলার্স-এর মতো দলগুলোরও কোয়ার্টারব্যাক প্রয়োজন।
পিটসবার্গ স্টিলার্স-এর পক্ষ থেকে শোনা গিয়েছিল, তারা হয়তো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অ্যারন রজার্সকে দলে ভেড়াতে পারে।
ড্রাফটে অপ্রত্যাশিত ফলাফলের শিকার হওয়া শুধু শেইডুর একাই নন। মিশিগান থেকে আসা কর্নারব্যাক উইল জনসনও প্রথম রাউন্ডে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রাখলেও, দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়ে তাকে আরিজোনা কার্ডিনালস দলে নেয়।
ড্রাফটের দ্বিতীয় রাউন্ডে বেশ কিছু দল খেলোয়াড় অদল-বদল করে। সিয়াটল এবং মায়ামি দল শুরুতে খেলোয়াড় বাছাইয়ের সুযোগ পায়। এছাড়া, বাফেলো বিলসও তাদের দল শক্তিশালী করতে কয়েকজন খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ায়।
এই ড্রাফটে ওহাইও স্টেট থেকে আসা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ভালো সুযোগ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রথম রাউন্ডেই নির্বাচিত হন।
খেলাধুলার দুনিয়ায় এমন উত্থান-পতন নতুন নয়। খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রম, প্রতিভা এবং ভাগ্যের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
শেইডুর স্যান্ডার্স এখন চতুর্থ রাউন্ডে সুযোগ পাওয়ার পর কিভাবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন, সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: The Guardian