আন্তর্জাতিক বাজারে শুল্কের পরিবর্তনের কারণে চীন থেকে পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম Shein এবং Temu-এর পণ্যের দামে পরিবর্তন এসেছে। সম্প্রতি, এই দুটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মূলত, আগামী সপ্তাহ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনের তৈরি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি।
জানা গেছে, Shein এবং Temu-এর বেশিরভাগ পণ্য চীন থেকে আসে। এতদিন, ৮০০ মার্কিন ডলারের কম মূল্যের পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় ছিল, যা ‘ডি মিনিমিস’ নামে পরিচিত।
কিন্তু, এই ছাড় আগামী ২ মে থেকে বাতিল হয়ে যাওয়ায়, পণ্যগুলির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে কোম্পানিগুলো।
উদাহরণস্বরূপ, CNN-এর একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, Temu-তে বৃহস্পতিবার একটি আউটডোর চেয়ারের দাম ছিল ৬১.৭২ ডলার, যা শুক্রবার বেড়ে হয় ৭০.১৭ ডলার। একইভাবে, Shein-এ একটি পোশাকের সেট বৃহস্পতিবার ৪.৩৯ ডলারে পাওয়া গেলেও, শুক্রবার সেটির দাম বেড়ে হয় ৮.৩৯ ডলার।
অর্থাৎ দাম বেড়েছে প্রায় ৯১ শতাংশ।
কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের সতর্ক করে জানিয়েছে, বিশ্ব বাণিজ্য নিয়মে পরিবর্তনের কারণে তাদের পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। Shein তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, “আমরা পণ্যের গুণমান বজায় রেখে দাম কম রাখার চেষ্টা করছি।
Temu একই ধরনের বার্তা দিয়েছে এবং গ্রাহকদেরকে ২৫ এপ্রিলের আগে কেনাকাটা করার জন্য উৎসাহিত করেছে, যাতে তারা এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব থেকে বাঁচতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, পোশাকের জন্য তারা তাদের আয়ের একটি বড় অংশ খরচ করে থাকে।
উল্লেখ্য, ‘ডি মিনিমিস’ ছাড় বাতিলের ফলে নিম্ন আয়ের পরিবারের ওপর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের বাজারেও এমন শুল্ক পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। কারণ, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পেলে, তা দেশের বাজারেও পণ্যের দামে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে, পোশাক ও ইলেক্ট্রনিক পণ্যের মতো জনপ্রিয় জিনিসের দাম বাড়তে পারে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিবর্তনের দিকে আমাদের নজর রাখা দরকার।
তথ্য সূত্র: CNN