শেেরি পাপিনির থেরাপিস্টের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি! অপহরণের ঘটনায় কী ঘটেছিল?

শেয়ারি পাপিনি নামের এক মার্কিন মহিলার অপহরণ ও প্রতারণার চাঞ্চল্যকর কাহিনী আবারও সামনে এসেছে।

২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার রেডিং-এর কাছে মর্নিং জগে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ২২ দিন পর ফিরে এসে জানান, মুখোশ পরা দুই হিস্পানিক নারী তাকে অপহরণ করে বন্দী করে রেখেছিল।

এই ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও, পরে জানা যায় তিনি মিথ্যা বলছেন।

তদন্তে জানা যায়, পাপিনি আসলে তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে, তিনি অপহরণের গল্প সাজান।

এরপর, ফেডারেল তদন্তকারীদের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ১৮ মাসের কারাদণ্ড হয় তার। সম্প্রতি, তিনি আবার নতুন করে দাবি করেছেন, অপহরণের ঘটনাটি সাজানো ছিল না, বরং তার প্রাক্তন প্রেমিক জেমস রেইস তাকে অপহরণ করেছিলেন।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন মূলত তিনিই।

পাপিনির আইনজীবী স্টিফেন ডিগস জানিয়েছেন, তিনি এখনো পর্যন্ত বিশ্বাস করেন যে তার মক্কেল অপহরণের শিকার হয়েছিলেন।

ডিগস মনে করেন, পাপিনির “সেলফ-ডিফিটিং পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার” (Self-Defeating Personality Disorder) ছিল, যার কারণে তিনি এমনটা করেছিলেন।

এই মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই এমন সম্পর্ক তৈরি করেন যেখানে তারা খুশি হন না এবং নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য অন্য কিছু করেন।

পাপিনি জানিয়েছেন, জেমসের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, যা পরে একটি খারাপ দিকে মোড় নেয়।

তিনি আরও জানান, লোকলজ্জা এবং সন্তানদের হারানোর ভয়ে তিনি জেমসের পরিচয় গোপন করেন এবং অপহরণের মিথ্যা গল্প তৈরি করেন।

আসন্ন একটি তথ্যচিত্র, “শেয়ারি পাপিনি: কট ইন দ্য লাই” -এ (Sherri Papini: Caught in the Lie) এই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

তথ্যচিত্রটিতে পাপিনি এবং তার থেরাপিস্টের বক্তব্য ছাড়াও ঘটনার আরও অনেক দিক তুলে ধরা হবে। জানা গেছে, তথ্যচিত্রটি ২৬ ও ২৭ মে তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রচারিত হবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *