শিরোনাম: মিথ্যা অপহরণের নাটক: শেরি পাপিনির ঘটনার পর তার বাবা-মায়ের বর্তমান অবস্থা।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা শেরি পাপিনি ২০১৬ সালের নভেম্বরে নিখোঁজ হওয়ার পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। পরে জানা যায়, তিনি অপহরণের একটি মিথ্যা গল্প সাজিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর শেরি পাপিনির বাবা-মা, রিচার্ড গ্র্যাফ এবং লরেটা গ্র্যাফের জীবন কেমন ছিল, তাই নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।
শেরি পাপিনির বাবা-মা তাদের মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়ার পর তাকে খুঁজে বের করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেছিলেন। ঘটনার কয়েকদিন পর, শেরি যখন ফিরে আসেন, তখন রিচার্ড গণমাধ্যমকে জানান, তারা তাদের মেয়েকে ফিরে পেয়ে অত্যন্ত খুশি এবং তিনি সুস্থ হওয়ার জন্য সময় চাইছেন।
কিন্তু তদন্তে জানা যায়, শেরি আসলে অপহরণের গল্পটি সাজিয়েছিলেন এবং তিনি তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে কস্টা মেসায় (Costa Mesa) আত্মগোপন করেছিলেন। এরপর আদালত তাকে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া ও প্রতারণার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়।
শেরি যখন মুক্তি পান, তখন তিনি দাবি করেন যে, তিনি কেবল অপহরণকারীদের পরিচয় সম্পর্কে মিথ্যা বলেছিলেন। তার প্রাক্তন প্রেমিক জেমস রেইসই তাকে অপহরণ করে আটকে রেখেছিল।
তবে জেমস রেইস এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। ঘটনার পর শেরি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন।
শেরি পাপিনির ঘটনার পর তার বাবা-মা গণমাধ্যমের আলোচনা থেকে দূরে ছিলেন। তারা তাদের মেয়ের এই কাণ্ডের জন্য বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন এবং চাকরিও হারিয়েছেন।
শেরি পাপিনির শৈশবকাল খুব একটা সুখের ছিল না। তার মা-বাবার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এমনকি একবার শেরি বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিলেন।
এরপর তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে তার বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন।
শেরি পাপিনির মা লরেটা গ্র্যাফ তার মেয়ের অপহরণের গল্পটিকে বিশ্বাস করেননি। তিনি বলেছিলেন, শেরি তার বিবাহিত জীবনে সুখী ছিলেন না এবং তিনি একটু শান্তির জন্য এমনটা করেছিলেন।
বর্তমানে শেরি পাপিনির বাবা-মা তাদের মেয়ের এই ঘটনার জন্য অনেক সমালোচনার শিকার হয়েছেন। তাদের জীবনে নেমে এসেছে এক কঠিন বাস্তবতা।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম