হাওয়াই দ্বীপে একটি বিলাসবহুল আবাসন প্রকল্পে হস্তক্ষেপের অভিযোগে লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্সের তারকা খেলোয়াড় শোওহেই ওতানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার সাথে জড়িত রয়েছেন ওতানির এজেন্ট এবং একজন রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী ও ব্রোকার।
খবরটি নিশ্চিত করেছে সিএনএন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, হাওয়াইয়ের ‘হাপুনা কোস্ট’-এ প্রায় ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বিলাসবহুল আবাসন প্রকল্প ছিল, যেখানে ওতানিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত করার কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে ওতানির এজেন্ট নেজ বালো ও ডেভেলপারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তিনি ডেভেলপার কেভিন জে. হেইস সিনিয়র এবং রিয়েল এস্টেট ব্রোকার তোমোকো মাতসুমোতোকে এই প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ওতানি এবং বালো তাদের খ্যাতি ব্যবহার করে এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরকে কোণঠাসা করেন। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের আর্থিক স্বার্থ হাসিল করা।
এই কারণে, হেইস এবং মাতসুমোতোর প্রায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
হেইস, যিনি ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, এবং মাতসুমোতো, যিনি বাড়িগুলোর তালিকা প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের অভিযোগ, ওতানি এবং বালো একই ধরনের আরেকটি প্রকল্পে তাদের স্বার্থহানি করার চেষ্টা করেছিলেন।
মামলায় ওতানি ও বালো’র বিরুদ্ধে ‘টর্টাস ইন্টারফেয়ারেন্স’ এবং ‘অন্যায়ভাবে সম্পদ বৃদ্ধি’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। ‘টর্টাস ইন্টারফেয়ারেন্স’-এর অর্থ হলো, কোনো চুক্তিতে তৃতীয় পক্ষের অযাচিত হস্তক্ষেপ, যা ক্ষতির কারণ হয়।
জানা গেছে, এই প্রকল্পের জন্য ওতানিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তিনি এই প্রকল্পের অধীনে নির্মিত ১৪টি বাড়ির মধ্যে একটি কেনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এছাড়াও, তিনি এখানে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করারও পরিকল্পনা করেছিলেন।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ডেভেলপাররা এই প্রকল্পের জন্য ১১ বছর ধরে কাজ করেছেন এবং ২০২৩ সালে ওতানির সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। সেই চুক্তির মাধ্যমে তারা জাপানি বাজারে এই প্রকল্পের পরিচিতি বাড়াতে চেয়েছিলেন।
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, বালো দ্রুত এই চুক্তিতে সমস্যা সৃষ্টি করতে শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সুবিধা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন এবং তা না হলে ওতানিকে এই প্রকল্প থেকে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন।
এর ফলস্বরূপ, ডেভেলপার কোম্পানি কিংসবার্ন রিয়েলটি ক্যাপিটাল, হেইস এবং মাতসুমোতোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, কিংসবার্ন সরাসরি স্বীকার করেছে যে বালো’র চাপে তারা হেইস ও মাতসুমোতোকে সরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার ফলে হেইস এবং মাতসুমোতো তাদের বাড়ি নির্মাণ থেকে শুরু করে ব্রোকারেজ কমিশন বাবদ কয়েক মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
এ বিষয়ে ওতানির এজেন্ট বা কিংসবার্ন কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন