বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব জিতলো সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর, যেখানে রয়েছে ৩০০-এর বেশি খাবারের দোকান। সম্প্রতি ‘এসইও ফর রেস্টুরেন্টস’ নামক একটি গবেষণা দল এই তালিকা প্রকাশ করেছে। খাবারের মান, দাম এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারের সুবিধার ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
সাধারণত, বিমানবন্দরের খাবার নিয়ে মানুষের তেমন একটা আগ্রহ থাকে না। অনেক সময় হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাই খেয়েই যাত্রীদের ক্ষুধা মেটাতে হয়। তবে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে ব্যাপারটা ভিন্ন। এখানে খাবারের বিশাল আয়োজন রয়েছে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
গবেষণা দল তাদের মূল্যায়নের জন্য বিমানবন্দরের খাবারের দোকানগুলোর গড় রেটিং, খাবারের দাম এবং যাত্রী প্রতি দোকানের সংখ্যা বিবেচনা করেছে। এই মানদণ্ডগুলোর ভিত্তিতে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৭.৭৯ স্কোর নিয়ে চাঙ্গি বিমানবন্দর শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।
গবেষণা অনুযায়ী, চাঙ্গি বিমানবন্দরে প্রতি এক মিলিয়ন যাত্রীর জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক খাবারের দোকান রয়েছে। এসইও ফর রেস্টুরেন্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেয়া আব্বোন্দানজা বলেছেন, “চাঙ্গি বিমানবন্দরের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে তারা ভ্রমণকারীদের জন্য বৈচিত্র্যময় খাবারের বিকল্প সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টার্মিনালগুলোতে ৩০০-এর বেশি খাবারের দোকান, উন্নত সুযোগ-সুবিধা এবং আকর্ষণীয় পরিবেশের কারণে চাঙ্গি বিমানবন্দর অনেক বিমানবন্দরের মধ্যে প্রথম স্থান পাওয়ার যোগ্য।”
এই তালিকায় এশিয়ার অন্যান্য বিমানবন্দরেরও ভালো অবস্থান দেখা যায়। এর কারণ হিসেবে আন্দ্রেয়া আব্বোন্দানজা এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ রন্ধন ঐতিহ্য এবং খাদ্য পর্যটনের ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেন, “বিমানবন্দরগুলো এখন জীবনযাত্রার কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে, তাই আমরা খাদ্য বিষয়ক আরও অনেক আয়োজন আশা করি। এটি কেবল ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকেই উন্নত করে না, বরং স্থানীয় রেস্টুরেন্ট এবং খাদ্য ব্যবসায়ীদের জন্য তাদের খাবার বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি করে।”
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিমানবন্দর। এরপর যথাক্রমে রয়েছে জাপানের টোকিও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। শীর্ষ দশের অন্য বিমানবন্দরগুলো হলো কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জার্মানির মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তুরস্কের ইস্তাম্বুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ফ্রান্সের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লেজার