ইউক্রেনের শিল্পী আলেসিয়া কোনোvalাঙ্কোর জীবন পরিবর্তনের গল্প, যিনি জটিল চোয়ালের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন।
জন্মগতভাবে তালুকাটা সমস্যা নিয়ে জন্ম হওয়ার পর থেকে তার জীবন ছিল নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মুখের হাড়ের গঠনগত সমস্যা এবং দাঁতের জটিলতা।
এর ফলস্বরূপ, তিনি প্রায়ই কানে ব্যথা অনুভব করতেন, যা তাকে অবশেষে জটিল একটি অস্ত্রোপচার করাতে বাধ্য করে।
আলেসিয়ার শৈশবে বেশ কয়েকবার তালুকাটার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু সেই অস্ত্রোপচারের কারণে চোয়ালের গঠনে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যা তার জীবনকে আরও কঠিন করে তোলে।
দাঁতের সমস্যা সমাধানে তিনি কিশোর বয়সে ব্রেস ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু তাতেও তার ওভারবাইট বা উপরের পাটির দাঁত সামান্য বাঁকা থাকার সমস্যা পুরোপুরি সারেনি।
এই সমস্যার সমাধানে তিনি জার্মানির বার্লিন থেকে ইউক্রেনের কিয়েভে এসে ডাবল চোয়াল সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টার বাস ভ্রমণ করে তিনি কিয়েভে পৌঁছান, যেখানে অস্ত্রোপচারটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
আলেসিয়া জানান, অস্ত্রোপচারের মূল কারণ ছিল সুন্দর হাসি ফিরে পাওয়া। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমার দাঁতের সমস্যা ছিল, যা আমাকে সব সময় বিব্রত করত।
” তিনি আরও যোগ করেন, “অস্ত্রোপচারের পর আমি যেন নতুন করে শ্বাস নিতে শিখলাম। আমার কণ্ঠের স্বরও আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে।
এই অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে প্রায় ১১,৫০০ মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার সমান।
অস্ত্রোপচারের পর প্রথম কয়েক দিন তরল খাবার গ্রহণ করতে হয়েছে তাকে। তবে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠায় তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন।
অস্ত্রোপচারের পর তিনি জানান, “আমি যদি এই অস্ত্রোপচার সফলভাবে করতে পারি, তাহলে জীবনে যেকোনো কিছুই করতে পারব।
আলেসিয়ার সেরে ওঠার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল তার মানসিক জোর, পর্যাপ্ত জল গ্রহণ এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস।
অস্ত্রোপচারের পর তিনি শ্বাস-প্রশ্বাস এবং কণ্ঠের উন্নতি অনুভব করেন। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে এটি তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তার উচ্চারণেও পরিবর্তন আসে, যা গান গাওয়ার ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
বর্তমানে, আলেসিয়া ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন এবং নিয়মিত গান গাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তার এই গল্প বাংলাদেশের অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা মুখের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে চিন্তিত।
বর্তমানে উন্নত বিশ্বে এই ধরনের অস্ত্রোপচার বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশেও এখন এর প্রচলন শুরু হয়েছে, যা মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস