রায়ান কুগলার-এর নতুন ছবি ‘সিনার্স’: এক দক্ষিণী গথিক হরর কাহিনী।
মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স-এর ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ (২০১৮) এবং ‘ওয়াকান্ডা ফরএভার’ (২০২২) ছবিগুলোর জন্য পরিচিত পরিচালক রায়ান কুগলার। তাঁর পরিচালনায় ২০১৬ সালের ‘ক্রিড’ ছবিটিও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এবার তিনি নিয়ে এসেছেন নতুন ছবি ‘সিনার্স’, যা দর্শকদের জন্য হতে যাচ্ছে এক ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতা।
‘সিনার্স’ ছবির প্রেক্ষাপট ১৯৩০ দশকের মিসিসিপি। গল্পের মূল চরিত্র হলো দুই ভাই, যারা শিকাগো থেকে আসে এবং তাদের গন্তব্যস্থল হয় নিজেদের জন্মভূমি মিসিসিপি।
এখানে তারা ব্লুজ সংগীতের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চায়। ছবির গল্পে মিশে আছে গ্যাংস্টার, ব্লুজ সংগীত এবং কু ক্লাক্স ক্ল্যানের মতো বিষয়গুলো।
ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাইকেল বি. জর্ডান। তিনি এখানে জোড়া চরিত্রে, অর্থাৎ যমজ দুই ভাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন – একজন কিছুটা রুক্ষ ও অন্যজন আকর্ষণীয়।
তাদের সঙ্গে যোগ দেন তরুণ অভিনেতা মাইলস ক্যাটন, যিনি ছবিতে একজন উঠতি ব্লুজ শিল্পী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ছবির গল্পে রহস্য, উত্তেজনা এবং অপ্রত্যাশিত মোড় রয়েছে।
‘সিনার্স’ -এর গল্পে একদিকে যেমন রয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, তেমনই অন্যদিকে রয়েছে সঙ্গীতের এক মাদকতাময় জগৎ।
ছবির দৃশ্যধারণ করা হয়েছে ৭০মিমি ফিল্মে, যা এর দৃশ্যগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। গল্পের প্রেক্ষাপট, চরিত্র এবং দৃশ্যের গভীরতা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে, ছবিটিতে ১৯৩০ দশকের আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলের একটি চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যেখানে জাতিগত বিভেদ ছিল একটি গুরুতর সমস্যা।
কু ক্লাক্স ক্ল্যানের মতো সংগঠনগুলো সেসময় তাদের বিদ্বেষপূর্ণ কার্যক্রমের জন্য পরিচিত ছিল। ছবিতে সেই সময়ের সামাজিক অস্থিরতা এবং ব্লুজ সংগীতের উত্থান- সবই দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে।
যারা হরর জনরার ছবি দেখতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে যাদের মধ্যে একটু ভিন্ন স্বাদের ছবি দেখার আগ্রহ রয়েছে, তাদের জন্য ‘সিনার্স’ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
ছবিটির গল্প, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলী—সবকিছুই দর্শকদের মনে দাগ কাটবে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ছবিটির মুক্তি এখনো নিশ্চিত নয়, তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অথবা অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে এটি উপভোগ করার সুযোগ থাকতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান