মিসিসিপির ক্লার্কসডেল শহরে, যেখানে ‘সিনার্স’ চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, সিনেমা হল নেই। এই কারণে শহরটির স্থানীয় আয়োজক টাইলার ইয়ারবোরো এবং মেয়র চাক এস্পি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে তাদের শহরে সিনেমাটির প্রদর্শনী করার জন্য আবেদন করেছেন।
তাদের আশা, এর মাধ্যমে শহরের মানুষ সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবে এবং ব্লুজ সংগীতের ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের ক্লার্কসডেল শহরটি ব্লুজ সংগীতের জন্মস্থান হিসেবে সুপরিচিত। এই শহরের সংস্কৃতি, বিশেষ করে ব্লুজ সংগীত, সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
‘সিনার্স’ চলচ্চিত্রটি এই শহরের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে এবং এর পরিচালক রায়ান কুগলার। ছবিতে অভিনেতা মাইকেল বি. জর্ডান অভিনয় করেছেন।
সিনেমাটি একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ক্রাইম থ্রিলার, যেখানে ভ্যাম্পায়ার হরর-এর উপাদানও রয়েছে।
টাইলার ইয়ারবোরো এবং মেয়র চাক এস্পি সিএনএন-এর সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, ক্লার্কসডেলে কোনো সিনেমা হল না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সিনেমাটি দেখতে অন্য শহরে যেতে হয়। ইয়ারবোরোর মতে, সিনেমা হল থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার দূরের একটি হলে গিয়ে তাকে সিনেমাটি দেখতে হয়েছিল।
মেয়র এস্পি শহরের সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে লোকসংখ্যার হ্রাস এবং অর্থের অভাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো এখন প্রায়ই মেমফিস, টেনেসির দিকে আকৃষ্ট হয়, যা ক্লার্কসডেল থেকে প্রায় ৮০ মাইল দূরে অবস্থিত।
আমরা চাই এই সিনেমার কলাকুশলীরা এখানে আসুক, যাতে এখানকার মানুষ তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, “ইতিমধ্যে অনেকেই এই আয়োজন সফল করার জন্য চেষ্টা করছেন। এমনকি দু’ঘণ্টার বেশি দূরের এলাকা থেকেও অনেকে ক্লার্কসডেলে এসে এই সিনেমা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
যদিও সিনেমা প্রদর্শনী চূড়ান্ত করার বিষয়ে কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি, তবে ইয়ারবোরো জানিয়েছেন, ওয়ার্নার ব্রোস.-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে এবং জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে এটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্লার্কসডেলের মানুষ চায়, শুধু সিনেমা প্রদর্শনীই নয়, বরং সিনেমার অভিনেতা ও কলাকুশলীরা যেন শহরের জাদুঘর এবং ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো ঘুরে দেখেন। ইয়ারবোরো বলেন, “আমরা চাই তারা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানুক।
‘সিনার্স’ চলচ্চিত্রে ব্লুজ সংগীতকে যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা ক্লার্কসডেলের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সিনেমায় বিভিন্ন ধরনের সংগীত, যেমন – হিপ-হপ, পপ ও রক – একসঙ্গে পরিবেশিত হয়েছে, যা স্থানীয় দর্শকদের কাছে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন