বোনের ঈর্ষা! সন্তানের খবর দিতে গিয়ে যা ঘটল, শুনলে চমকে যাবেন!

এখানে একটি পরিবারের গল্প, যেখানে দুটি বোনের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণার জেরে মনোমালিন্য দেখা দিয়েছে। ২৫ বছর বয়সী এক তরুণী, যিনি দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন, একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে তাঁর এই সুখবরটি জানাতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু তাঁর বড় বোন, ৩১ বছর বয়সী, যিনি সন্তান ধারণের জন্য কিছু সমস্যা মোকাবেলা করছিলেন, তিনি আগেই তাঁর গর্ভধারণের ঘোষণা দেন। এরপর এই ঘটনায় যা ঘটেছিল, সেই গল্পটিই এখন আলোচনার বিষয়।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই তরুণী তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় গর্ভধারণের কথা ভাগ করে নিতে চান। কিন্তু তার কয়েক দিন আগে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর বোনও মা হতে চলেছেন এবং তিনি পারিবারিক অনুষ্ঠানে এই খবরটি সবার সাথে শেয়ার করতে চান।

ছোট বোনটি তখন বড় বোনকে সমর্থন জানানোর জন্য নিজের খবরটি গোপন রাখেন, কারণ তিনি চাননি তাঁর বোনের আনন্দের দিনে কোনো সমস্যা হোক। তাঁর প্রথম সন্তানের জন্মের সময়ও বড় বোনটি একটু বেশি সময় নিয়েছিলেন, কারণ তিনি গর্ভপাতের ভয় পাচ্ছিলেন।

পারিবারিক অনুষ্ঠানে বড় বোন তাঁর গর্ভধারণের কথা জানানোর পরে, ছোট বোনটি চুপ করে ছিলেন। পরে, তাঁর ভাইয়ের প্রেমিকা যখন তাঁর গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন, তখন তিনি একটি বাগানবাড়ির অনুষ্ঠানে এই খবরটি জানানোর প্রস্তাব দেন।

ছোট বোন রাজি হন এবং সেই অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানান যে তিনি আবার মা হতে চলেছেন। সবাই তাঁকে অভিনন্দন জানায় এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায়।

কিন্তু এই সময়েই ঘটে বিপত্তি। ছোট বোনের কথায় জানা যায়, তাঁর বড় বোন এতে মনক্ষুণ্ণ হন। তিনি ছোট বোনকে “স্বার্থপর” বলে অভিহিত করেন এবং অভিযোগ করেন যে ছোট বোন ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর আনন্দ কেড়ে নিতে চেয়েছেন।

ছোট বোনটি যখন জানতে চান, কীভাবে তিনি এমনটা করতে পারেন, কারণ তিনি তো বড় বোনের গর্ভধারণের খবর আগে জানতেন না, তখন বড় বোন জানান, ছোট বোন নাকি বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন।

এই ঘটনার পর দুই বোনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং বড় বোন আরও কিছু অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ছোট বোনের দ্বিতীয় সন্তান হওয়ায় এত হৈচৈ করার কোনো প্রয়োজন ছিল না, এবং তিনি (ছোট বোন) তাঁর (বড় বোনের) মনোযোগের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন।

এই ঘটনার পরে, ছোট বোন বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু করেন এবং জানতে চান যে তাঁর কোনো ভুল ছিল কিনা।

বর্তমানে, এই ঘটনার জেরে দুই বোনের মধ্যে সম্পর্ক কেমন দাঁড়িয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে, একটি বিষয় পরিষ্কার যে, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *