প্রকাশ্যে বোনের অপমান, বিনিময়ে বিনামূল্যে বেবিসিটিং চেয়ে ফেঁসে গেলেন!

শিরোনাম: বোনের খোঁটা, এরপর বাচ্চাদের দেখাশোনার আবদার: তরুণীর দৃঢ় প্রতিবাদ

বাংলাদেশে পরিবারের লোকজনের উপর, বিশেষ করে শিশুদের দেখাশোনার ক্ষেত্রে, অনেক সময় নির্ভর করতে হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভালোবাসার পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে, যা সম্প্রতি অনলাইনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এমনই একটি ঘটনার সূত্রপাত, যেখানে এক তরুণী তার বড় বোনের কাছ থেকে পাওয়া খারাপ ব্যবহারের প্রতিবাদ করেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি পারিবারিক নৈশভোজে। সেখানে, বড় বোন, যিনি ২৭ বছর বয়সী, তার ছোট বোন, অর্থাৎ ১৭ বছর বয়সী তরুণীকে নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেন যা সকলের সামনে তাকে অপমানিত করে। ছোট বোনটি পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ায় তার সামাজিক জীবন নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়।

বোনের এই ধরনের আচরণে তরুণীটি অত্যন্ত বিব্রত হন।

আসলে, ছোট বোনটি তার বড় বোনের তিনটি সন্তানের দেখাশোনা করত। সাধারণত, সে ভালোবাসাবাসি থেকেই কাজটি করত।

কিন্তু ঘটনার দিন, পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে তাকে অপমান করায়, তার মনে হয় যেন তার এই ভালোবাসাকে দুর্বলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঘটনার কয়েকদিন পর, যখন বড় বোন তার সন্তানদের দেখাশোনার জন্য আবার অনুরোধ করেন, তখন ছোট বোনটি সরাসরি ‘না’ করে দেয়। এর কারণ জানতে চাইলে, সে দৃঢ় কণ্ঠে জানায়, “আমি এখন জীবন খুঁজে বের করছি।”

ছোট বোনের এমন উত্তরে বড় বোন ক্ষিপ্ত হন এবং তাকে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুর হওয়ার অভিযোগ করেন। এমনকি মা-ও ছোট বোনকে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বলেন।

কিন্তু তরুণীটি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিল। তার মনে হয়েছিল, যদি সে এখনই প্রতিবাদ না করে, তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। তাই, সে তার সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই তরুণীর এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানান। তাদের মতে, কারো সম্মানহানি করে, পরে তার কাছে সুবিধা চাওয়াটা মোটেও ঠিক নয়।

বরং, নিজের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হওয়াটা জরুরি।

পরে, তরুণীটি জানান, তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। তিনি তার ভাই-বোনদের ভালোবাসেন, তবে তাদের কাছ থেকে সম্মানও প্রত্যাশা করেন।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *