গর্ভবতী মায়ের উপর আপন ননদের ক্রমাগত নাম পরিবর্তনের আবদার, বিতর্কের জন্ম।
একজন নারী, যিনি শীঘ্রই যমজ সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন, তার সন্তানের নামকরণের বিষয়ে ননদের ক্রমাগত আপত্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অনলাইনে আলোচনা-পর্যালোচনা করার একটি প্ল্যাটফর্মে (সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম) নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তিনি।
জানা গেছে, ওই নারী ও তার স্বামী তাদের আসন্ন যমজ সন্তানের জন্য “জর্ডান লিও” (ছেলে) এবং “আইভি ম্যাডিসন” (মেয়ে) নাম চূড়ান্ত করেছেন। তারা মনে করেন নামগুলো সুন্দর এবং স্বাভাবিক।
কিন্তু তাদের ননদ, যিনি সম্ভবত “লায়লা” নামে পরিচিত, গত কয়েক মাস ধরে তাদের এই নাম পরিবর্তনের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।
ওই নারী তার পোস্টে আরও লিখেছেন, তিনি এবং তার স্বামী বারবার তাদের ননদকে নাম পরিবর্তনের কারণ জিজ্ঞাসা করেছেন, কিন্তু তিনি কোনো উপযুক্ত উত্তর দিতে পারেননি। তিনি কেবল বলেছেন, “শিশুদের জন্য আরও ভালো কিছু নাম রাখা যেতে পারে।”
এই বিষয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত ছিলেন এবং অবশেষে ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে ফেলেন। ননদের ক্রমাগত “ঠাট্টা-তামাশা”, “নাক গলানো” এবং “বারবার অনুরোধ”-এর কারণে তিনি এতটাই ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন যে, এক পর্যায়ে তিনি তাকে (ননদকে) চূড়ান্তভাবে মুখ বন্ধ করতে বলেন।
বর্তমানে, ওই নারী নিজেকে “ভিলেন” হিসেবে দেখছেন, কারণ তার এমন মন্তব্যের কারণে ননদ মনক্ষুণ্ণ হয়েছেন। কিন্তু তিনি মনে করেন, তিনি কোনো ভুল করেননি। অনলাইনে অনেকে এই বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
কেউ কেউ মনে করেন, ননদের সম্ভবত অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে এবং তিনি হয়তো এই নামগুলি নিজে ব্যবহার করতে চান। আবার অনেকে বলেছেন, ননদের এই বিষয়ে কোনো কথা বলার অধিকার নেই এবং তাকে বিষয়টি মেনে নিতে হবে।
এই ঘটনাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমাদের সমাজের পারিবারিক সম্পর্কের একটি দিক তুলে ধরে। বিশেষ করে, যখন একজন নারী মা হতে চলেছেন, তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে নানা ধরনের পরামর্শ এবং মতামত আসে।
অনেক সময়, এই ধরনের আলোচনা-পর্যালোচনা সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরাতে পারে। এই ক্ষেত্রে, নাম নিয়ে ননদের ক্রমাগত আপত্তি নিঃসন্দেহে ওই নারীর জন্য মানসিক চাপের কারণ হয়েছে।
বিষয়টি এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার বিষয়। সবারই মনে রাখতে হবে, সন্তানের নাম রাখা একটি ব্যক্তিগত এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
পরিবারের সদস্যদের উচিত এই বিষয়ে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা এবং চাপ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা।
তথ্য সূত্র: পিপল