যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিস্টার ওয়াইভস’ খ্যাত টেলিভিশন তারকা জ্যানেল ব্রাউনের ছেলে গ্যারিসন ব্রাউনের আত্মহত্যার ঘটনার পর তাঁর পরিবার শোকাহত।
সম্প্রতি, পরিবারের সদস্যরা জানান, মৃত্যুর আগে গ্যারিসনকে উত্তর ক্যারোলিনায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছিলো।
জানা গেছে, মার্চ মাসের শুরুতে তিনি আত্মহত্যা করেন।
গ্যারিসনের বড় বোন ম্যাডিসন ব্রাশ এবং তাঁর স্বামী ক্যালেব ব্রাশ জানান, তাঁরা গ্যারিসনকে অ্যারিজোনার ফ্ল্যাগস্টাফ থেকে উত্তর ক্যারোলিনায় তাঁদের কাছে চলে আসার জন্য উৎসাহিত করছিলেন।
ম্যাডিসন জানান, তাঁরা প্রায়ই এ বিষয়ে কথা বলতেন এবং গ্যারিসনও আসতে রাজি হয়েছিলেন।
ক্যালেব বলেন, “প্রায় এনেই ফেলেছিলাম, সে আসছিল।”
ম্যাডিসন আরও বলেন, “আমার মনে হয় সে গভীর হতাশায় ছিলেন।”
গ্যারিসনের ছোট ভাই গ্যাব্রিয়েল ব্রাউন তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে গ্যারিসনের মৃতদেহ খুঁজে পান।
এরপর জ্যানেল ব্রাউন, ম্যাডিসনকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
ম্যাডিসন তাঁর ভাই-বোনদের এই খবরটি জানানোর পর মানসিক দিক থেকে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন।
তিনি বলেন, “জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যা মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়।
আমার মনে হয়, ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি তেমনই একটি মুহূর্ত ছিল।”
জ্যানেল ব্রাউন বর্তমানে ম্যাডিসন এবং তাঁর চার সন্তানের কাছাকাছি থাকার জন্য উত্তর ক্যারোলিনায় বসবাস করছেন।
সেখানে তাঁরা দু’জনে মিলে ‘তায়েদা ফার্মস’ নামে একটি ফুলের খামার তৈরি করছেন।
গ্যারিসনের মৃত্যুর দিন তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন জ্যানেল।
তিনি জানান, জীবনের শেষ দিকে গ্যারিসন মদ্যপান করতেন।
তিনি বলেন, “আমি জানি না কি হয়েছিল।
সে কখনোই মদ্যপান করত না।
মদের প্রতি তার কোনো আগ্রহও ছিল না।
কোভিড-১৯ এর সময় থেকে সে পান করা শুরু করে এবং গত এক বছরে এটা আরও বেড়ে যায়।”
গ্যারিসনের এই কঠিন সময়ে পরিবার তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছিল।
জ্যানেল জানান, “আমরা তাকে সব ধরনের ভালোবাসা, সমর্থন এবং সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম।
আমি জানি না, সেদিন রাতে কি ঘটেছিল।
এমন আগেও হয়েছে, যখন সে অনেক পান করে জ্ঞান হারাতো, কিন্তু সকালে তার জ্ঞান ফিরে আসত।”
যদি কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যার কথা চিন্তা করেন, তবে অনুগ্রহ করে ৯৮৮ নম্বরে ফোন করে ‘সুইসাইড অ্যান্ড ক্রাইসিস লাইফলাইন’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন অথবা ‘ক্রাইসিস টেক্সট লাইন’-এ ‘STRENGTH’ লিখে ৭৪১৪১ নম্বরে মেসেজ করুন।
তথ্য সূত্র: পিপল