স্মার্টফোন: যত্নের চাবিকাঠি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের উপায়
বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন মডেলের স্মার্টফোন আসলেও, পুরনো ফোনটিকে আরও কয়েক বছর টিকিয়ে রাখা সম্ভব। এতে একদিকে যেমন নতুন ফোন কেনার খরচ বাঁচে, তেমনি পরিবেশের উপরও এর ইতিবাচক প্রভাব পরে।
আসুন, জেনে নিই স্মার্টফোনকে দীর্ঘকাল ব্যবহারের কিছু কৌশল।
* **সুরক্ষার প্রথম ধাপ: উপযুক্ত কভার ও স্ক্রিন প্রোটেক্টর ব্যবহার করুন:**
ফোন সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল একটি ভালো মানের কভার ব্যবহার করা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কভার পাওয়া যায়, যেমন – শক্ত প্লাস্টিকের তৈরি, রাবারের তৈরি, বা শক-প্রুফ কভার।
আপনার ফোনটিকে অপ্রত্যাশিত আঘাত ও স্ক্র্যাচ থেকে বাঁচাতে একটি ভালো স্ক্রিন প্রোটেক্টর ব্যবহার করা অপরিহার্য।
* **হাতে রাখুন গ্রিপ, ফোন ব্যবহারের সুবিধা বাড়ান:**
বড় স্ক্রিনের ফোন সহজে ব্যবহারের জন্য পপসকেট, ফোন রিং বা হাতের স্ট্র্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে স্মার্টফোনের জন্য ক্রস-বডি স্ট্র্যাপ, যা ফোন বহন করার সুবিধা যোগ করে।
* **সফটওয়্যার আপ-টু-ডেট রাখুন:**
নিয়মিতভাবে আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম (Android অথবা iOS) আপডেট করুন। আপডেটের মাধ্যমে নতুন ফিচার যোগ হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকিও কমে যায়।
পুরনো ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
* **ফোনের স্টোরেজ খালি রাখুন:**
ফোনের গতি ঠিক রাখতে অতিরিক্ত ফাইল, ছবি, ভিডিও, এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস নিয়মিতভাবে ডিলিট করুন। ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণের জন্য ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন, যেমন – গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স ইত্যাদি।
এছাড়া, মেমোরি কার্ড ব্যবহার করেও আপনি আপনার ফোনের স্টোরেজ বাড়াতে পারেন।
* **ব্যাটারির যত্ন নিন, চার্জিংয়ের দিকে খেয়াল রাখুন:**
স্মার্টফোনের ব্যাটারি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চার্জ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত।
অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডায় ফোন রাখা এড়িয়ে চলুন। ফুল চার্জ দেওয়ার পরিবর্তে, ২০% থেকে ৮০%-এর মধ্যে চার্জ রাখার চেষ্টা করুন।
রাতে ফোন চার্জে বসিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এছাড়া, স্মার্টফোনে ব্যাটারি সেভার মোড ব্যবহার করলে ব্যাটারির চার্জ বাঁচে।
* **ফোন পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন:**
নিয়মিতভাবে আপনার ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার করুন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল স্প্রে দিয়ে ফোন পরিষ্কার করা ভালো।
চার্জিং পোর্ট, স্পিকার এবং মাইক্রোফোনের ছিদ্রগুলো পরিষ্কার রাখুন, যাতে সেখানে ময়লা জমে ফোনের কার্যকারিতা কমে না যায়।
উপরের বিষয়গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার স্মার্টফোনটিকে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার অর্থ সাশ্রয় হবে এবং পরিবেশের সুরক্ষাতেও আপনি অবদান রাখতে পারবেন।
তথ্য সূত্র: The Guardian