বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী স্মোকি রবিনসন-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তার সাবেক চার পরিচারিকা। তাদের অভিযোগ, ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের যৌন নির্যাতন করেছেন রবিনসন।
শুধু তাই নয়, তারা রবিনসন ও তার স্ত্রী ফ্রান্সেস-এর বিরুদ্ধে শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ এনেছেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় রবিনসন পাল্টা তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করেছেন ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অভিযোগকারিণীরা তাদের পরিচয় গোপন রেখেছেন। তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে জানা যায়, নির্যাতিতারা দীর্ঘদিন ধরে রবিনসন-এর বাড়িতে কাজ করতেন।
তারা জানান, কম বেতনের কর্মী হওয়ায় তাদের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভবনা ছিল, তাই ভয়ে এতদিন মুখ খোলেননি।
তাদের আরও অভিযোগ, রবিনসন দম্পতি তাদের ন্যূনতম মজুরি ও ওভারটাইম দেননি, সেই সঙ্গে কর্মপরিবেশ ছিল অত্যন্ত প্রতিকূল।
অন্যদিকে, রবিনসন এবং তার স্ত্রী ফ্রান্সেস শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তাদের দাবি, এই অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছে।
তাদের আইনজীবীরা বলছেন, অভিযোগকারীরা দীর্ঘদিন ধরে রবিনসন পরিবারের সঙ্গে ছিলেন, তাদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যও নিয়েছেন এবং তাদের সঙ্গেই ছুটি কাটিয়েছেন।
রবিনসন-এর আইনজীবীরা আরও বলছেন, অভিযোগকারীদের ‘লোভ’ সীমাহীন এবং তারা রবিনসন-এর সম্মানহানি করতে চাইছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে রবিনসনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তও শুরু হয়েছে।
রবিনসন এই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন, সত্য প্রকাশিত হোক, এটাই তিনি চান।
অভিযোগকারী নারীরা জানান, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অভিবাসন সংক্রান্ত জটিলতা ছিল এবং সামাজিক সম্মানহানির ভয়ে তারা এতদিন মুখ খোলেননি।
তারা প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন এবং একটি জুরি ট্রায়ালের দাবি করেছেন।
অভিযোগকারীদের আইনজীবী জানান, ফ্রান্সেস রবিনসন তার স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং তার স্বামীর অপকর্ম সম্পর্কে জেনেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
বরং তিনি তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে চেয়েছিলেন।
স্মোকি রবিনসন একসময় ‘দ্য মিরাকেলস’ ব্যান্ডের প্রধান গায়ক ছিলেন।
তিনি মার্ভিন গে এবং দ্য টেম্পটেশনস-এর মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের জন্য গান লিখেছেন।
এই বছরই তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘হোয়াট দ্য ওয়ার্ল্ড নিডস নাও’ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান