দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন: স্ন্যুপ ডগ ও শান্টে ব্রডাসের ২৮তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন।
বিশ্বখ্যাত র্যাপ শিল্পী স্ন্যুপ ডগ এবং তাঁর স্ত্রী শান্টে ব্রডাস তাঁদের ভালোবাসার সম্পর্কের আরও একটি মাইলফলক অতিক্রম করলেন। সম্প্রতি, তাঁরা বিবাহিত জীবনের ২৮ বছর পূর্ণ করেছেন, যা ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১৪ই জুন ছিল তাঁদের বিবাহবার্ষিকী। এই বিশেষ দিনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের ভালোবাসার গভীরতা ফুটে ওঠে।
এই উপলক্ষে, স্ন্যুপ ডগ তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে স্ত্রীর সাথে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে তাঁদের একসঙ্গে হাসিখুশি দেখা যাচ্ছে। ছবির ক্যাপশনে তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার চিহ্ন হিসেবে একটি নীল হৃদয়ের ইমোজি ব্যবহার করেন।
অন্যদিকে, শান্টে ব্রডাস তাঁদের সম্পর্কের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি দিয়ে একটি সুন্দর কোলাজ তৈরি করে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “শুভ বিবাহবার্ষিকী, স্ন্যুপ ডগ। তুমি যা করো, তার জন্য ধন্যবাদ।”
স্ন্যুপ ডগ এবং শান্টে ব্রডাসের প্রেম কাহিনী শুরু হয়েছিল কৈশোরে, ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচ পলিটেকনিক হাই স্কুলে পড়ার সময়। ১৯৮৯ সালে তাঁরা একসঙ্গে স্কুলের প্রমেও গিয়েছিলেন।
এরপর ১৯৯৭ সালের জুনে ক্যালিফোর্নিয়ার মারিনা দেল রে-র রিটজ কার্লটন হোটেলে তাঁদের বিয়ে হয়। ২০০৪ সালে তাঁদের মধ্যে কিছু দিনের জন্য বিচ্ছেদ হলেও, ২০০৮ সালে তাঁরা আবার তাঁদের বিবাহবন্ধনের অঙ্গীকার করেন।
এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে: কর্ডে, কর্ডেল এবং করি। এছাড়াও, স্ন্যুপ ডগের আরও একটি ছেলে রয়েছে, যার নাম জুলিয়ান। বর্তমানে তাঁরা বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনিরও দাদা-দাদি।
গত বছর এক সাক্ষাৎকারে স্ন্যুপ ডগ তাঁর স্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “শান্টে আমাকে বোঝে।” তিনি আরও যোগ করেন, “সে একজন চমৎকার মা, অসাধারণ একজন দাদি, একজন ভালো স্ত্রী এবং একজন ভালো বন্ধু।
আমার কোন আচরণে আমি মজা করি, আর কোন আচরণে শান্ত থাকি, সেটা সে জানে। আর আমি এটা খুব উপভোগ করি।” স্ন্যুপ ডগ আরও বলেন, “বছর জুড়ে শান্টে আমার সঙ্গে থেকে আমার কাজকে বুঝেছে, আমাকে আমার মতো করে কাজ করতে দিয়েছে এবং পরিবারের জন্য সময় বের করতে শিখিয়েছে।”
স্ন্যুপ ডগ তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে আরও বলেন, “আমি একজন ভালোবাসাপূর্ণ, যত্নশীল এবং দায়িত্ববান স্বামী। আমার স্ত্রী জীবনে কোনো দিন কাজ করেনি। আমি কাজ করি, আর সে আমার মেরুদণ্ডস্বরূপ।”
এই দম্পতির দীর্ঘ এবং সুখী দাম্পত্য জীবন সকলের কাছে একটি অনুপ্রেরণা। তাঁদের ভালোবাসার বন্ধন, পারস্পরিক সম্মান এবং পরিবারের প্রতি অঙ্গীকার সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
তথ্য সূত্র: পিপল।