সৎমাকে নিমন্ত্রণ না জানানোয় বাবার কাণ্ড! জন্মদিনের ভোজে ভাঙন?

জন্মদিনের রাতের খাবার: সৎ মাকে না ডাকার ফল, বাবার সঙ্গে ছেলের মনোমালিন্য

পরিবারে পারস্পরিক সম্পর্ক সবসময়ই একটি জটিল বিষয়। ভালোবাসার পাশাপাশি, মতের অমিল, ভুল বোঝাবুঝি—এসবও স্বাভাবিক।

সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে, যা সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি হলো, একুশ বছর বয়সী এক যুবকের জন্মদিনের রাতের খাবারে সৎ মাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য।

ছেলেটির বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয় যখন তার বয়স ছিল বারো বছর। এরপর, দুই বছর আগে তার বাবা পুনরায় বিয়ে করেন।

ছেলেটি তার পুরনো পারিবারিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল, যেখানে পরিবারের সকলে একসঙ্গে জন্মদিনের রাতের খাবারে মিলিত হতো। বিশেষ করে, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের আগের দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করতে চেয়েছিল সে। তাই, সে তার মা, বাবা, ভাই এবং একমাত্র জীবিত ঠাকুরদাকে নিমন্ত্রণ জানায়।

কিন্তু, এই আয়োজনে বাদ সাধেন ছেলেটির বাবা। তিনি চান, তার বর্তমান স্ত্রীও যেন এই আয়োজনে উপস্থিত থাকেন।

ছেলেটি জানায়, সৎ মায়ের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক তেমন ভালো নয়। তাই, সে চেয়েছিল, শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নিয়েই এই অনুষ্ঠানটি হোক। বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পরেও, বাবা তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।

শেষ পর্যন্ত, জন্মদিনের রাতে খাবার টেবিলে বাবার দেখা পাওয়া যায়নি। কারণ, সেখানে তার স্ত্রী, অর্থাৎ ছেলেটির সৎ মায়ের নিমন্ত্রণ ছিল না।

এর ফলস্বরূপ, জন্মদিনের সেই বিশেষ মুহূর্তটি আর উপভোগ করা হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে ছেলেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুভূতির কথা প্রকাশ করে। সে জানায়, তার বাবা নাকি বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পেরেছেন, তার এই আচরণ ‘অমার্জিত’ ছিল।

তাই, অন্যদের মতামত জানতে চেয়েছিল সে।

এই ঘটনায় অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ ছেলের এই ইচ্ছাকে সমর্থন করেছেন, আবার কারো কারো মতে, বাবারও তার স্ত্রীর প্রতি সম্মান জানানো উচিত ছিল।

সব মিলিয়ে, পারিবারিক সম্পর্কের এই টানাপোড়েন বুঝিয়ে দেয়, সম্পর্কের জটিলতা এবং প্রত্যেকের নিজস্ব অনুভূতির গুরুত্ব কতটা।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *