দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল মাঠের বেহাল দশার কারণে আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দেশটির পারফর্মেন্স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দলের অধিনায়ক সন হিউং-মিন।
টটেনহ্যাম হটস্পারের এই তারকা ফুটবলারের মতে, মাঠের খারাপ অবস্থার কারণে তারা প্রত্যাশিত খেলা উপহার দিতে পারছেন না।
এর প্রতিকার চেয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি জর্ডানের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সন মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা যখন নিজেদের মাঠে খেলি, তখন সেরা পরিবেশ পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হচ্ছে না।”
শুধু সন-ই নন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার জেসি লিনগার্ডও কোরিয়ার মাঠের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বর্তমানে এফসি সিউলের হয়ে খেলা লিনগার্ড গত মাসে মাঠের খারাপ অবস্থার কারণে আহত হয়েছিলেন।
বিষয়টি নজরে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
দেশটির সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এপ্রিল মাস থেকে কোরিয়ান লিগের (K League) অধীনে থাকা সব স্টেডিয়ামের মাঠ পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, মাঠের এই বেহাল দশার কারণে খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্সে যেমন প্রভাব পড়ছে, তেমনি দর্শকদের মধ্যেও অসন্তুষ্টি তৈরি হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, মাঠের মান উন্নয়নে তারা জাপানসহ অন্যান্য দেশের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিও খতিয়ে দেখবে।
তাদের মূল লক্ষ্য হল, মাঠের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ‘বি’ গ্রুপে এখনো পর্যন্ত ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে জর্ডান এবং ওমানের সঙ্গে ড্র করায় তারা সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
আগামী জুন মাসে তাদের ইরাক ও কুয়েতের সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে।
অন্যদিকে, ১৩ পয়েন্ট নিয়ে জর্ডান রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
তাদেরও বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো করতে হবে।
ফুটবলপ্রেমী বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য এই খবর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, খেলার মাঠের মান উন্নত না হলে খেলোয়াড়দের ভালো পারফর্ম করা কঠিন।
এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে বাংলাদেশের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও মাঠের উন্নয়নে নজর দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।