দক্ষিণ কোরিয়া: নাটকীয় নির্বাচনের পথে!

দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে আবারও পালাবদল। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রী লি জু-হোকে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পদত্যাগ করেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসিত করার পর সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু আগামী ৩ জুনের নির্বাচনে অংশ নিতে চান। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি কোরিয়ার ভবিষ্যৎ এবং আমাদের সবার জন্য যা করতে পারি, তা খুঁজে বের করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এদিকে, নির্বাচনের আগে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জে-মিয়ংয়ের আইনি জটিলতা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি নির্বাচন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া রায় বাতিল করে পুনরায় নিম্ন আদালতে শুনানির নির্দেশ দিয়েছে।

যদি নির্বাচনের আগে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসনের পর গত কয়েক মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে একাধিকবার পরিবর্তন এসেছে। ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে তিনি নিজেও অভিশংসিত হন এবং তাঁর জায়গায় অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে মার্চ মাসে সাংবিধানিক আদালত হান ডাক-সুর অভিশংসন বাতিল করে এবং তিনি পুনরায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হান ডাক-সু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হলেও তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের দল পিপল পাওয়ার পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারেন। তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা সীমিত করা এবং ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ডেমোক্রেটিক পার্টি হান ডাক-সুর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। দলের মুখপাত্র নোহ জং-মিয়ুন এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী হানকে সতর্ক করছি। জনগণের জন্য কাজ করার মিথ্যা অজুহাতে নিজের ক্ষমতা লিপ্সা গোপন করবেন না।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটির অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং শ্রমিক সম্পর্ক রয়েছে, যা এই পরিবর্তনের কারণে প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *