দক্ষিণ কোরিয়ার আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী কিম মুন-সুকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিয়ংয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হবে তাকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনে জেতার জন্য কিমকে অন্যান্য রক্ষণশীল দলগুলোর সমর্থন আদায় করতে হবে।
কিম মুন-সু দলের প্রাথমিক নির্বাচনে ৫৬.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হান দং-হুন।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কিম জানান, তিনি লি জে-মিয়ং এবং তার ডেমোক্রেটিক পার্টির ক্ষমতা রোধ করতে জোট গঠনের চেষ্টা করবেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের মেয়াদ শেষের পরেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) সদস্য ইউনকে তার বিতর্কিত সামরিক আইন জারির কারণে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।
এরপর থেকেই ক্ষমতাসীন দলটিতে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে।
কিম একসময় শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবে পরবর্তীতে তিনি রক্ষণশীল রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচিত হলে দুর্নীতি দমন, আর্থিক সংস্কার, পেনশন ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো তার প্রধান লক্ষ্য হবে।
এছাড়া, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক জোট বজায় রাখা এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন যুক্ত করার কথাও জানান।
অন্যদিকে, লি জে-মিয়ং ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পর নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলার কারণে তার প্রচারণায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইউন সুক-ইওলের অপসারণ পিপিপি-র জন্য একটি বড় ধাক্কা। কিম মুন-সু নির্বাচনে জিততে সক্ষম হবেন কিনা, তা এখন দেখার বিষয়।
তবে তাকে লি জে-মিয়ংয়ের মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবিলা করতে হবে।
তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।