ফের ক্ষমতায় বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী! দক্ষিণ কোরিয়ায় চরম উত্তেজনা

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে চলছে চরম অস্থিরতা। দেশটির সাংবিধানিক আদালত সদ্যই অভিশংসিত প্রধানমন্ত্রী হান ডক-সুকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে পুনর্বহাল করেছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসন প্রক্রিয়া নতুন মোড় নিয়েছে।

সোমবার আদালতের ৭-১ ভোটে এই রায় আসে, যেখানে হান ডক-সুর অভিশংসন বাতিল করা হয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসনের কারণে তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। এখন আদালত ইউন সুক-ইওলের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য শুনানি করছে।

ডিসেম্বরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ইউন অল্প সময়ের জন্য সামরিক আইন জারি করেছিলেন। এরপরেই তাকে অভিশংসিত করা হয়। হান ডক-সুকে অপসারণের কারণ ছিল, তিনি সাংবিধানিক আদালতে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দিতে রাজি হননি। যদিও পরে আদালত এই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি।

আদালতের রায়ের পর এক ভাষণে হান ডক-সু আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দেশের জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় মনোযোগ দেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, দেশের সকল নাগরিক এই চরম রাজনৈতিক বিভাজন রুখতে চাইছে। এখন বিভক্তির কোনো স্থান নেই। আমাদের দেশের অগ্রাধিকার হলো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসন বহাল থাকবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আদালত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই বিষয়ে শুনানি করছে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যদি ইউন সুক-ইওলের অভিশংসন বহাল থাকে, তবে তার উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।

এছাড়াও, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার কারণে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *