ধুঁকছে স্পিরিট এয়ারলাইন্স? দেউলিয়া হওয়ার পর ফের কি সেই পথে?

নতুন করে দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিরিট এয়ারলাইন্স।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট এয়ারলাইন্স স্পিরিট এয়ারলাইন্স আবারও তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান। কয়েক মাস আগেই তারা দেউলিয়া হওয়ার সংকট থেকে মুক্তি পেয়েছিল, কিন্তু অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী চাহিদা কমে যাওয়া এবং নগদ অর্থের অভাবে তারা এখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।

বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহনের চাহিদা কম ছিল, সেই কারণে তাদের টিকিট বিক্রির হারেও প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও, বাজারে টিকে থাকার জন্য তাদের খরচও বেড়েছে। পরিস্থিতি যদি এমনই চলতে থাকে, তাহলে পুরো বছর জুড়েই তাদের ব্যবসায় অনিশ্চয়তা থাকবে।

এর আগে, নগদ অর্থ সাশ্রয়ের জন্য স্পিরিট এয়ারলাইন্স তাদের প্রায় ২৭০ জন পাইলটকে সাময়িক বরখাস্ত করার এবং ১৪০ জন কর্মীর পদাবনতি ঘটানোর ঘোষণা দেয়।

হলুদ রঙের বিমানগুলোর জন্য পরিচিত এই এয়ারলাইন্সটি দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনছিল। সেই কারণে, গত নভেম্বরে তারা দেউলিয়া সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করে। এর আগে, বেশ কয়েকবার একত্রীকরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল এবং তাদের ঋণের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছিল। অবশেষে, আদালতের অনুমোদন এবং ঋণদাতাদের সহায়তায় মার্চ মাসে তারা দেউলিয়া অবস্থা থেকে মুক্তি পায়।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধি এবং বাজেট কাটছাঁটের কারণে ভ্রমণকারীরা তাদের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে, যা তাদের ব্যবসা আরও কঠিন করে তুলেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায়, স্পিরিট এয়ারলাইন্স তাদের সম্পদ বিক্রি করে এবং বিমানবন্দরের অতিরিক্ত জায়গা ছেড়ে দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তাদের ক্রেডিট কার্ড প্রক্রিয়াকরণকারী প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে আরও বেশি পরিমাণ জামানত চাইছে, অন্যথায় তাদের চুক্তি বাতিল হতে পারে, যা ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা। এই সব কারণে, আগামী এক বছরের মধ্যে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে আছে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

বর্তমানে ১ মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় [বর্তমান বিনিময় হার] টাকার সমান।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *