শিরোনাম: হৃদরোগ থেকে বাঁচতে: নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন তারকা স্টার জোনস
বহু বছর ধরে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগেছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব স্টার জোনস। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য বেশ কয়েক বছর আগে তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যার ফলস্বরূপ তার শারীরিক গঠনে পরিবর্তন আসে এবং মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। নিয়মিত শরীরচর্চা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনি ভালো অনুভব করছিলেন।
কিন্তু এর মাঝেও মাঝে মাঝে কিছু উপসর্গ দেখা দিতো তার। শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা এবং বুক ধড়ফড় করত। এই লক্ষণগুলো তাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। এরপর তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন এবং পরীক্ষার পর জানতে পারেন, ২০১০ সালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানান, তার ওপেন-হার্ট সার্জারি করাতে হবে। এই খবরে তিনি বেশ ভয় পেয়েছিলেন। জোনস বলেন, “যে কেউ হৃদরোগের কথা শুনে ভয় পায় না বললে, মিথ্যা বলবে।” অস্ত্রোপচারের সময় তার হৃদযন্ত্র প্রায় ২২ মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল। এই কঠিন অস্ত্রোপচারের পর তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করেন। এরপর তিনি হৃদরোগ সম্পর্কে আরও জানতে শুরু করেন এবং বুঝতে পারেন, অনেক নারীই এই বিষয়ে সচেতন নন।
নিজের জীবনের এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে স্টার জোনস এখন হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। তিনি মনে করেন, স্তন ক্যানসারের মতো হৃদরোগের বিষয়েও নারীদের খোলামেলা আলোচনা করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি জরিপ অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নারীদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। উদ্বেগের বিষয় হলো, মাত্র ৪৫ শতাংশ নারী তাদের মা বা ঠাকুরমার সঙ্গে হৃদরোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এমনকি, প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন তাদের ডাক্তারের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেন না।
আসন্ন মাতৃদিবসে, স্টার জোনস একটি প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি নারীদেরকে তাদের মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে হৃদরোগের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে উৎসাহিত করছেন। তিনি মনে করেন, পরিবারে এই ধরনের আলোচনা হলে রোগ সম্পর্কে আগে থেকে সচেতন হওয়া সম্ভব এবং জীবন বাঁচানো যেতে পারে।
বাংলাদেশেও হৃদরোগ একটি গুরুতর সমস্যা। তাই, আমাদের সকলেরই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা এবং শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে আমরা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারি। কোনো রকম উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
তথ্য সূত্র: পিপলস