একটি উজ্জ্বল সন্ধ্যায়, জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব স্টার জোন্স তার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে কথা বলেছেন। আজকের যুগে যেখানে শরীরের গঠন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, সেখানে তিনি ২০ বছর আগের একটি কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরেন, যখন অতিরিক্ত ওজনের জন্য তাকে সমাজের তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল।
“বিহাইন্ড দ্য টেবিল” নামক একটি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, জোন্স তার স্বাস্থ্য এবং আত্ম-স্বীকৃতির পথে হাঁটার গল্প শোনান।
জোন্স জানান, সেই সময় অতিরিক্ত ওজনের কারণে মানুষের কাছ থেকে কেমন বিদ্রূপ শুনতে হতো। অনেকে তাকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করত।
তবে, তিনি কখনোই সমাজের চাপিয়ে দেওয়া ধারণার কাছে নতি স্বীকার করেননি। বরং, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া শুরু করেন।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, চিকিৎসকেরা তাকে ওজন কমানোর আগে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ, তার মতে, শরীরের পরিবর্তন আনার আগে মনের পরিবর্তন আনা জরুরি ছিল।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করে, জোন্স জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনেন। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম এবং একটি সুস্থ জীবনযাত্রা বেছে নেওয়ার মাধ্যমে তিনি নিজের শরীরের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান।
এই পরিবর্তনের ফলস্বরূপ, তিনি শুধু শারীরিক সুস্থতাই লাভ করেননি, বরং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সমাজের চোখেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনেন।
তবে, জোন্সের স্বাস্থ্য-সংগ্রাম এখানেই শেষ হয়নি। ২০১০ সালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে তার ওপেন-হার্ট সার্জারি হয়।
এই ঘটনাটি তার জীবনকে নতুন করে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। হৃদরোগের কারণে তিনি কতটা ভীত ছিলেন, সে কথা অকপটে স্বীকার করেন।
অস্ত্রোপচারের পর তিনি হৃদরোগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে শুরু করেন এবং উপলব্ধি করেন, অনেক নারীই এই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন নন।
জোন্স মনে করেন, ওপেন-হার্ট সার্জারি তাকে নতুন জীবন দিয়েছে। হৃদরোগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন এবং স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার মাধ্যমেই তিনি জীবনকে নতুন করে ফিরে পেয়েছেন।
বর্তমানে, তিনি নারীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। তার এই যাত্রা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে এবং সমাজের চোখে শরীরের সংজ্ঞা নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করে।
তথ্য সূত্র: পিপল