বিশ্বজুড়ে কফিপ্রেমীদের পছন্দের জায়গা স্টারবাকস। এবার তারা তাদের কফি পানের অভিজ্ঞতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে।
সম্প্রতি, স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ার সাথে সাথে প্রোটিনের চাহিদাও বাড়ছে, আর সেই দিকে নজর রেখেই স্টারবাকস তাদের কফি পানীয়ের সাথে যুক্ত করতে যাচ্ছে নতুন একটি উপাদান – প্রোটিন কোল্ড ফোম।
সংস্থাটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি স্থানে এই নতুন সংযোজন পরীক্ষা করছে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো বাজারের এই নতুন প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটানো।
স্টারবাকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রায়ান নিকোলের মতে, এই পদক্ষেপ তাদের বিক্রি বাড়াতে সহায়ক হবে।
নতুন এই প্রোটিন কোল্ড ফোমটি কলা-স্বাদের, এবং এতে রয়েছে ১৫ গ্রাম প্রোটিন। এটি চিনিমুক্ত ভ্যানিলা ল্যাটের সাথে পরিবেশন করা হচ্ছে।
খবর অনুযায়ী, এই নতুন সংযোজনটি স্টারবাকসের “পানীয় এবং খাদ্যকে আধুনিকীকরণ ও নতুনভাবে সাজানোর” বৃহত্তর পরিকল্পনার একটি অংশ।
শুধু তাই নয়, স্টারবাকস তাদের মেনুতেও কিছু পরিবর্তন আনছে। জানা গেছে, মেনু থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ আইটেম বাদ দেওয়া হবে, তবে নতুন খাদ্য ও পানীয় যুক্ত করা হবে।
গ্রাহকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় কিছু করতে, স্টারবাকস তাদের দোকানে প্যাস্ট্রি বেক করার পরীক্ষাও শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে, বাটার ক্রোসেন্ট এবং ডাবল চকোলেট কুকি তৈরি করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রোটিনযুক্ত বিকল্প যুক্ত করা স্টারবাকসের জন্য একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। বর্তমানে প্রোটিন শেকের বাজার প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় ৬,৫০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি) একটি বিশাল শিল্পে পরিণত হয়েছে।
কোকা-কোলা’র কোর পাওয়ার এবং পেপসিকোর মাসল মিল্কের মতো প্রস্তুতকৃত পানীয়গুলির পাশাপাশি, ডাচ ব্রোসের মতো ছোট প্রতিযোগীও এই বাজারে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে, যেখানে প্রোটিন কফি পানীয়ের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে।
এদিকে, গ্রাহকসেবার মান আরও উন্নত করতে স্টারবাকস ৩৫টি স্থানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। “গ্রিন ডট অ্যাসিস্ট” নামের এই এআই প্রযুক্তি কর্মীদের পানীয় তৈরির পদ্ধতি এবং সরঞ্জামের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।
এছাড়াও, স্টারবাকস তাদের চীনা ইউনিটের অংশীদারিত্ব বিক্রির ব্যাপারেও আগ্রহী। প্রতিদ্বন্দ্বী লাকিন কফি থেকে গ্রাহক টানতে, সম্প্রতি চীনে কিছু পানীয়ের দামও কমিয়েছে তারা।
তথ্য সূত্র: সিএনএন