স্বামী: ‘টাকা জমাও’, মা: ‘কাজের কী দরকার?’

গৃহিণী মায়ের চাকরি করা উচিত কিনা, এই নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে প্রায়ই বিতর্ক দেখা যায়। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন ফোরামে, এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে যেখানে এক মা তাঁর স্বামীর চাপে চাকরি করতে রাজি নন।

তাঁর মতে, পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকার পরও চাকরি করলে সুবিধা হওয়ার বদলে আরও বেশি ঝক্কি পোহাতে হবে।

ওই নারীর স্বামী চাইছেন, তাঁর স্ত্রী কাজ করে সংসারের সঞ্চয় আরও বাড়াক। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে।

ওই মা জানান, তিনি বর্তমানে সন্তানদের দেখাশোনা করেন, বাড়ির কাজকর্ম করেন এবং স্থানীয় কিছু সেবামূলক কাজেও যুক্ত আছেন।

তাঁর স্বামীর ভালো বেতন আছে এবং তাঁদের হাতে প্রতি মাসে কিছু টাকাও বাঁচে।

তাঁর মতে, চাকরি করলে বাড়তি চাপ তো থাকবেই, তার উপর ক্লিনার রাখার খরচ এবং শিশুদের দেখাশোনার ব্যবস্থা করতে গিয়ে লাভের অঙ্কটা হয়তো তেমনই কিছু থাকবে না।

কারণ তিনি যে কাজটি করতে যাচ্ছেন, তার বেতন সামান্যই হবে।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইন ফোরাম ‘মামসনেটে’ একটি জরিপ চালানো হয়। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ওই মায়ের চাকরি করতে না চাওয়ার সিদ্ধান্তটি কতটা যুক্তিযুক্ত।

প্রায় ৩ হাজার ভোটারের মধ্যে ৮১ শতাংশই মনে করেন, ওই মায়ের এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।

তাঁদের মতে, যেহেতু তাঁর সন্তানরা এখন স্কুলে যায় এবং বাড়ির কাজের জন্য ক্লিনারও রয়েছেন, তাই তাঁর কাজ করা উচিত।

অনেকে আবার মন্তব্য করেছেন, ক্লিনার রাখা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়।

তবে, কেউ কেউ মনে করেন, যদি অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর পরিবারের আর্থিক দায়িত্ব চাপানো হয়, তবে সেই ব্যক্তির এতে সম্মতি থাকতে হবে।

যেহেতু স্বামীর এখন আর এতে সম্মতি নেই, তাই স্ত্রীর চাকরি খোঁজা উচিত।

তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, আধুনিক সমাজে একজন নারীর কর্মজীবন কেমন হওয়া উচিত?

পরিবার ও কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করা দরকার?

কর্মজীবী মায়ের সন্তানের প্রতি দায়িত্ব কেমন হওয়া উচিত? এমন অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *